মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অ্যাসিসট্যান্স ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি)। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। মঙ্গলবার রাস্তায় আবর্জনা ফেলে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
সোমবার বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে আরও ১৪ জনকে হত্যা করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এএপিপি জানিয়েছে, সোমবার নিহতদের মধ্যে আট জন ইয়াঙ্গুনের দক্ষিণ ডাগন জেলার। খবর রয়টার্সের
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ এএপিপি জানিয়েছে, বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে দুই মাসে ৫১০ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে জান্তার বাহিনী। গত শনিবার একদিনের নিহত হয়েছেন ১৪১ জন। এদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সোমবার বালু ব্যাগের ব্যারিকেড ভেদ করতে নিরাপত্তা বাহিনী স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভারী-ক্যালিবার অস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কী ধরণের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে যে, নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসী লোকদের ভিড় ভাঙার জন্য ‘রায়ট উইপেনস’ ব্যবহার করেছে এবং এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
দক্ষিণ ডাগনের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, রাতভর এলাকায় গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে জানতে পুলিশ ও জান্তা সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করলে কোনো জবাব দেননি।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমারের জান্তাকে বিক্ষোভে হত্যা ও দমন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।