জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের ওপর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে চীন। বৈশ্বিক মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— প্রধানত উইঘুর মুসলমান এবং অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর বছরজুড়ে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে চীন।
১০ লাখেরও বেশি বেসামরিক ব্যক্তিকে নির্বিচারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। নারীদের বন্ধ্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাধ্যতামূলক শ্রম আদায় এবং ধর্মীয়, বাক ও চলাচলের স্বাধীনতায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি বছরই এমন প্রতিবেদন দরকার পড়ে। ১৮০টির বেশি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন বলেন, বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চল থেকে পাওয়া এসব তথ্য বলে দিচ্ছে— মানবাধিকার অব্যাহতভাবে ভুল পথে চলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের কূটনীতির সব উপায় ব্যবহার করা হবে এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
কাজেই কলাকৌশলের মধ্যে বৈশ্বিক ম্যাগনিটসকি আইনের অধীন তাদের ওপর ভ্রমণ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারও আভাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কূটনীতিক।
তবে জিনজিয়াংয়ে সব ধরনের মানবাধিকার হরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীন।