হেফাজতে ইসলামের নিজস্ব তহবিলের লাখ লাখ টাকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। ২০১৩ সাল থেকে গত আট বছরে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচুর অনুদান এলেও এর কোনো হিসাব নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে হেফাজত নেতাদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও হেফাজতের অডিটর মাওলানা সলিমউল্লাহর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিনা উসকানিতে সংঘাত সৃষ্টির পর এবার বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের তহবিল তছরুপের। গত ৭ বছর ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আর্থিক সহায়তার কোনো হিসেবেই নেই। সদ্যপ্রয়াত সংগঠনটির প্রধান আল্লামা আহমদ শফী অন্তত ৫ বার কমিটি গঠন করেও সংগঠনের কোনো হিসাব বের করতে পারেননি।
বারবার বর্তমান আমির এবং তৎকালীন মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী কৌশলে কমিটিগুলো ভেঙে দিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও সংগঠনের অডিটর মাওলানার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও অডিটর মাওলানা সলিমল্লাহ বলেন, বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরীকে ইঙ্গিত করে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছেন, তার কাছে তহবিল তছরুপের সব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।
তিনি বলেন, তার চিকিৎসা বাবদ ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন, চিকিৎসা বাবদ ২০ লাখ টাকার হিসাব এখন পর্যন্ত দিয়েছেন? আল্লামা শায়খুল ইসলাম আহমদ শফী (র.) যে ২৫ লাখ টাকা ক্যাশ দিয়েছিলেন। এই ক্যাশ কোনো খাতে জমা হয়েছে কি না?
এদিকে সংগঠনের আরেক সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দিন রুহীও অভিযোগ করেছেন, তৎকালীন আমির আল্লামা আহমদ শফীকে এড়িয়ে বর্তমান কমিটিতে স্থান পাওয়ারা খালি চেকের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
২০১০ সালে নারী নীতির বিরোধিতা করে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতেই গঠন হয় কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। তবে ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে প্রতিষ্ঠা হওয়া গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধিতা করে প্রচারে আসে সংগঠনটি। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা আহমদ শফী মারা যাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই কৌশলে আমির হন মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী।