২০২০ অর্থবছরে (২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ এর মার্চ) ‘ওডিএ প্যাকেজ’ এর আওতায় বিশ্বের ৭০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে জাপান সরকার। ওই অর্থবছরে বাংলাদেশকে তিন হাজার ৩৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করেছে জাপান।
আর ২০২১ অর্থবছরে (২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ এর মার্চ) ওডিএ প্রকল্পের আওতায় জাপান সরকারের কাছ থেকে করোনা মোকাবিলাসহ ছয়টি প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে কী পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে জাপান, তা এখনও ঠিক হয়নি।
আজ শুক্রবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) জাপান অধিশাখার যুগ্ম সচিব মুহম্মদ আশরাফ আলী ফারুক গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিষয়গুলো নিয়ে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সঙ্গে গত ৩১ মার্চ ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে।
জাপানের কাছে ২০২১ অর্থবছরে আর্থিক সহযোগিতা চাওয়া প্রকল্প ছয়টি হলো— ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন ১ (সেকেন্ড ট্রান্স), ঢাকা ম্যাস রেপিড ট্রানজিট লাইন ৬, মাতারবাড়ি কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট, সাউদার্ন চট্টগ্রাম রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট এবং হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট পলিসি লোন। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায়ও ঋণ সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।
ইআরডির জাপান অধিশাখার যুগ্ম সচিব মুহম্মদ আশরাফ আলী ফারুক বলেন, জাপানের পরবর্তী ওডিএ প্যাকেজে ছয়টি প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। এই ছয় প্রকল্পের জন্য কত টাকা দেবে তা এখন বলা যাচ্ছে না। অর্থের পরিমাণ জাপান সরকার নির্ধারণ করবে।
জাপানের শেষ হওয়া অর্থবছরের বিষয়ে আশরাফ আলী বলেন, প্রতি বছর জাপান সরকার ওডিএ প্যাকেজের আওতায় বিশ্বের ৭০টি দেশের সবগুলো প্রকল্পের জন্য ঋণ সহায়তা প্রতিশ্রুতি দেয়। সর্বশেষ ২০২০ অর্থবছরের (২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ) সময়কালে জাপান সরকার আমাদের যে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে, তা সবগুলো দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তিনি বলেন, এই অর্থবছরে ওই ছয়টি প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য জাপান সরকারকে অনুরোধ করেছি। ইআরডি সচিবের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের যে ভার্চুয়াল সভা হয়েছে, সেখানে আমরা জানতে পেরেছি এটা বিশ্বের সর্বোচ্চ।
২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশকে তিন হাজার ৩৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (তিন লাখ ৭৩ হাজার ২৪৭ মিলিয়ন ইয়েন) ঋণ প্রদান করেছে জাপান।