করোনায় আরও ৫০ জনের প্রাণহানি, শনাক্ত ৬৮৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু
ফাইল ছবি

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর নতুন রেকর্ড হয়েছে; একদিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৬ হাজার ৮৩০ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়। যা গতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যায়।

universel cardiac hospital

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জনে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৫০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৯ হাজার ১৫৫ জনের মৃত্যু হলো। দেশে মহামারী শুরুর পর থেকে এক দিনে শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পর গত সোমবার প্রথমবারের মত এক দিনে পাঁচ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্তের খবর আসে। তার মধ্য দিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে যায়। তিন দিনের মাথায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছয় হাজারও ছাড়িয়ে যায়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল সরকার, গত বুধবার তা নয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

টানা কয়েক দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হারও বেড়ে ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে গত এক দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৪৭৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ২২৬টি ল্যাবে ২৯হাজার ৩৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ১১৩টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ আর নারী ১০ জন। তাদের মধ্যে এক জন বাড়িতে মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে ৩২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরে মধ্যে, চারজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, দুইজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৩৬ জন ঢাকা বিভাগের, ৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩ জন খুলনা বিভাগের এবং সিলেট বিভাগের ২ জন।

শেয়ার করুন