দিনাজপুরে লোহার খনির সন্ধানে খনন শুরু

দিনাজপুর প্রতিনিধি

লোহার খনি

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় লোহার খনির সন্ধানে আনুষ্ঠানিকভাবে ড্রিলিং (খনন) কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছে ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি)। জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুরে আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় এই কার্যক্রমে উদ্বোধন করেন জিএসবির মহাপরিচালক (ডিজি, অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মহ. শের আলী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে কেশবপুর গ্রামের মাটির নিচে কী কী সম্পদ আছে তা দেখা হবে। এতে এলাকাবাসীর ভয়ের কিছু নেই। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা তথ্যগুলো সরকারকে সরবরাহ করব। পরে সরকার যাতে সেগুলো কাজে লাগাতে পারে। যদি এই গ্রামে মাটির নিচে খনি পাওয়া যায় তাহলে সরকার ভেবে-চিন্তে কাজ করবে।

universel cardiac hospital

‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার নতুন নতুন খনির আবিষ্কার’ উল্লেখ করে জিএসবির মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদফতর মুজিববর্ষে দেশের মানুষকে নতুন খনি উপহার দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পাঁচটি কয়লা খনির সন্ধান আমরা পেয়েছি। সেই খনিগুলোর কয়লা দিয়ে প্রায় ৫০ বছর পুরো বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ মাটি থেকে উত্তোলন করতে গেলে দেশের বহু মানুষের জমি নষ্ট হবে। বর্তমান সরকার দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে বাইরে থেকে কয়লা রফতানি করছে। হয়তো একসময় মানুষের ক্ষতি হবে না, এমন প্রযুক্তি আসলে তখন সরকার এই সম্পদ উত্তোলন করবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চিরিরবন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দিকা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসতিয়াক হাসান, পুনট্রি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুর-এ-কামাল।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল জেলার হাকিমপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রামে উন্নতমানের লোহার আকরিকের (ম্যাগনেটাইট) খনির কূপ খনন কার্যক্রম শুরু করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ড্রিল কার্যক্রমে পাওয়া লোহার খনির সম্ভাব্যতা নিশ্চিত, মজুত ও পরিধি যাচাইয়ে তৃতীয় পর্যায়ের ড্রিলিং কার্যক্রমের শুরু করে জিএসবি।

শেয়ার করুন