সেই দিনের এত বড় ঘটনার আগাম খবর পুলিশ কেন পেল না: ডা. জাফরুল্লাহ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, আজকে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রবেশ করার পথে পুলিশ আমার গাড়ি আটকে জিজ্ঞাসা করছেন, কোথায় যাব, কী করব। পুলিশ এতটা সচেতন থাকলে সেই দিনের এত বড় ঘটনা ঘটনার আগাম খবর পেল না কেন? আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি।

আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রেসক্লাবে আক্রমণ করা, সভাপতিকে আক্রমণ করা অপরিপক্ক, ভুল ও অন্যায় কাজ। প্রেসক্লাবকে আক্রমণ আর মসজিদে আক্রমণ করা এক জিনিস। প্রেসক্লাব অত্যন্ত পবিত্র একটা জায়গা। আপনাদের কাজ হলো সত্যকে তুলে ধরা। অনেক জায়গায় সেটা আপনারা করে থাকেন। একইভাবে হামলার ঘটনা চলাকালে মসজিদের মাইক ব্যবহারকে নিন্দনীয় বলে মনে করি।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা সম্পর্কে তথ্য পাচ্ছি। এদিন কেউ কেউ রামদা নিয়ে বেরিয়ে ছিল। আবার শুনতে পাচ্ছি, প্যান্ট শার্ট পরিহিত লোক ছিল। আবার অনেকের কাছ থেকে শুনেছি আওয়ামী লীগের অন্তর্দ্বন্দ্বের বিষয় ছিল এখানে। সব বিষয় জেনে আমরা আমাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পরে জানাব।

তিনি বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে ঘটনার সময় পুলিশের গাড়ি পোড়াচ্ছে আর উনারা (পুলিশ) সব ঘুমচ্ছিলেন মনে হয়েছে।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ভাসানী, অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহাঙ্গীর, নারী নেত্রী শিরিন হক, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী। মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, পানি বিশেজ্ঞ ম. এনামুল হক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

এর আগে তারা বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন।

শেয়ার করুন