সব শ্রেণির বীর মুক্তিযোদ্ধারা উৎসব, নববর্ষ ও বিজয় দিবসের ভাতার আওতায় আসবেন। এজন্য খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উৎসব ভাতা দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জীবিতদের মহান বিজয় দিবসে পাঁচ হাজার টাকা ও নববর্ষে দুই হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে।
চলতি বছরের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে সব শ্রেণির বীর মুক্তিযোদ্ধা উৎসব, নববর্ষ ও বিজয় দিবস ভাতার আওতায় আসবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পঙ্গুত্বের মাত্রাভেদে এ, বি, সি ও ডি এই চারটি শ্রেণিতে মাসিক ৪৫ হাজার টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা পেয়ে থাকেন এই শ্রেণিতে ভাতা পাচ্ছেন পাঁচ হাজার ২২২ জন।
অন্যদিকে মৃত-যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার ৯৫২ পরিবারকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা, পাঁচ হাজার ৮১৬ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের মাসিক ৩০ হাজার টাকা হারে সম্মানি ভাতা এবং বছরে ১০ হাজার টাকা হারে দুটি উৎসব ভাতা দেয়া হচ্ছে।
একইভাবে সাত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারকে মাসিক ৩৫ হাজার টাকা, ৬৮ বীর উত্তম পরিবারকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা, ১৭৫ বীর বিক্রম পরিবারকে মাসিক ২০ হাজার টাকা হারে এবং ৪২৬ বীর প্রতীক পরিবারকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ১২ হাজার টাকা হারে সম্মানি ভাতার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা হারে দুটি উৎসব ভাতা পান।