দেশে অথবা বিদেশে যেখানেই হোক না কেন হোটেল, মোটেল কিংবা কোনো রিসোর্টে অবস্থান করতে চাইলে অবশ্যই পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। বিশেষ করে এককভাবেই হোক আর সঙ্গীসহ হোক রুমে অবস্থানের জন্য হোটেল বা আশ্রয়স্থল কর্তৃপক্ষকে সঠিকভাবে বিস্তারিত জানাতে হবে। এমনটিই আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন।
কিন্তু সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নং রুমে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজত নেতা মামুনুল হক যে অস্থায়ী আবাস নিয়েছিলেন সেখানে তিনি আইনানুগ শর্তাদি সঠিকভাবে সম্পন্ন করেননি বলেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে তথ্যে এসেছে।
এছাড়া কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এমন অবস্থান নিলে স্থানীয় থানায় রিপোর্ট করার বিধান রয়েছে। কিন্তু মামুনুল হক যে এ বিষয়েও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মানেননি তা তিনি স্বীকার করেছেন সেই রিসোর্টে জনতার হাতে নারী-সঙ্গিনী নিয়ে আটক হওয়ার পর। আর এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক ধূম্রজাল। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
উল্লেখিত ঘটনায় হেফাজত নেতা মামুনুল হক সেই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও এর সত্যতা নিয়ে প্রায় সবাই সন্দিহান। কেননা, সেদিন সেই নারী ও মামুনুলের বক্তব্যে ব্যাপক গরমিল ছিল। এমনকি সেই নারীর নাম, পরিচয়ও দুজনের বক্তব্যে এক ছিল না। আর এমন ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কিন্তু তারা যদি সংশ্লিষ্ট নিয়মকানুন যথাযথভাবে মেনে রিসোর্টে অবস্থান করতেন তাহলে প্রথমেই সেই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যেত। আর মামুনুল সেই নারীকে নিজের স্ত্রী দাবি করলেও বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে না পারায় রিসোর্টে অবস্থানের সুযোগই পেতেন না। এক্ষেত্রে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষেরও গাফলতি বা মোহ কাজ করেছে বলে নারায়ণগঞ্জ এলাকার সুধী মহলের মত।