লকডাউনে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম সীমিত, যেসব মামলা চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল ছবি

করোনা সংক্রমণ রোধে সাত দিনের চলমান লকডাউনে সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত আদালত বসছে না। তবে এই সাত দিন অর্থাৎ সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচার কাজ সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে।

এই সময়ে রিট, দেওয়ানি ও ফৌজদারি সংক্রান্ত একটি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলার বিচার কাজ সীমিত পরিসরে ভার্চুয়ালি চলবে।

রোববার (৪ এপ্রিল) রাতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনার পর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে এ বিষয়ে জারি করা আপিল বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাবজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে।

তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ও বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টা হতে চেম্বার আদালত অতি জরুরি বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করবেন।

হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ তারিখ হতে এফিডেভিডকৃত জরুরি বিষয়ে রিট, দেওয়ানি ও ফৌজদারি সংক্রান্ত একটি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি সংক্রান্ত একটি বেঞ্চ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুনানি করবেন।

এর আগে গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ছুটির ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ ও সকল অধস্তন আদালতসমূহে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ ছুটি কয়েক দফা বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে ছুটির মধ্যে ভার্চুয়াল কোর্ট শুরু হয়।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে দ্বিতীয় দফায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। রোববার (৪ এপ্রিল) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস রোধকল্পে ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন বলবৎ থাকবে। এই সময় সব ধরনের গণপরিবহন (বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না।

শেয়ার করুন