করোনার (কোভিড-১৯) সংক্রমণ আবার বাড়ছে চীনে। মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন দেশটির ইউনান প্রদেশে নতুন করে সংক্রমণ শুরু হচ্ছে। দুদিন আগেও এ অঞ্চলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭।
রোববার একদিনের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। গত দুই মাসে দৈনিক সংক্রমণ শনাক্তের হিসাবে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা।
করোনা আক্রান্তের দৈনিক রেকর্ড ছাড়িয়েছে ভারতেও। সোমবার, শুধু একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ তিন হাজার ৫৫৮ জন। একদিনে এত লোক এর আগে আক্রান্ত হননি ভারতে। রয়টার্স, আনন্দবাজার।
চীনে নতুন রোগীদের মধ্যে স্থানীয় যারা, তাদের সবাই ইউনান প্রদেশের রুলি শহরের বাসিন্দা। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। সেখানে ব্যাপকহারে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গত সপ্তাহে রুলি শহরে করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্তের পর শহরটিতে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। শহরে শনাক্ত হওয়া রোগীদের শরীরের করোনাভাইরাসের জিনগত বিশ্লেষণ করে ১১ জনের শরীরে পাওয়া ভাইরাসের নমুনার সঙ্গে মিয়ানমারের ভাইরাসের মিল পাওয়া গেছে।
চীনের মূল ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত ৯০ হাজার ৩০৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ৬৩৬ জনের।
ভয়ংকর অবস্থা প্রতিবেশী ভারতেও। দেশটিতে পূর্ববর্তী দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছিল গত ১৭ সেপ্টেম্বর, ওই দিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন ছিল। রোববার আরও ৪৭৮ জন করোনাভাইরাস রোগীর মৃত্যু হওয়ায় দেশটিতে মহামারিতে মৃতের মোট সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ১০১ জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে এক কোটি ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬৭ জন এবং মারা গেছে এক লাখ ৬৫ হাজার ১৩২ জন।
ভারতে সবচেয়ে বেশি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। করোনা মহামারি শুরুর পর ওই রাজ্যে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ভারতের এই দৈনিক সংক্রমণের সিংহভাগই ৯-১০টি রাজ্যে থেকে। আরও ৫-৬টি রাজ্যের পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে।
তবে মহারাষ্ট্রের মতো অবস্থায় এখনো অন্য রাজ্যেগুলোতে তৈরি হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৪ জন। গোটা করোনাপর্বে দেশের কোনো একটি রাজ্যে একদিনে সংক্রমণের নিরিখে যা সর্বোচ্চ।
সে রাজ্যে বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি মুম্বাইয়ের অবস্থাও খারাপ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বাণিজ্যনগরীতে নতুন আক্রান্ত ১১ হাজার ১৬৩ জন। করোনাপর্বে দেশের কোনো একটি শহরে একদিনে সংক্রমণের নিরিখেও যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ।
ইংল্যান্ডে সপ্তাহে দুইবার করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক
ইংল্যান্ডে সপ্তাহে দুইবার করোনার পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার থেকে প্রত্যেককে এক সপ্তাহে দুইবার করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। সরকারের করোনা পরীক্ষার কর্মসূচির আওতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
দ্রুত করোনা পরীক্ষা করো যায় এমন কিট সহজলভ্য করা হচ্ছে। টেস্টিংয়ের বিভিন্ন স্থান, ফার্মেসিতে এগুলো পাওয়া যাবে। এসব কিটের মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটেই করোনা পরীক্ষা সম্ভব।