দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৭ হাজার ২১৩ জনের দেহে। একদিনে মৃত্যু ও শনাক্তের হিসেবে যা নতুন রেকর্ড।
এর আগে জুনের ৩০ তারিখে ৬৪ জন মারা যান, যা একদিনে মৃতের সংখ্যায় এতদিন সর্বোচ্চ ছিল। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই ৫০ জনের ওপরে মারা যাচ্ছেন। আজ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৮৪ জনে।
নতুন করে আরও ৭ হাজার ২১৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ায় এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিন দৈনিক সাত হাজারে বেশি রোগী শনাক্ত হলো। গত ৪ মার্চ সাত হাজার ৮৭ জন ও গতকাল সাত হাজার ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৬৯ জন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৩৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৩১১টি নমুনা। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩৫টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০২ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
একদিনে মারা যাওয়া ৬৬ জনের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ, বাকি ২৭ জন নারী। ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে, দুইজন মারা গেছেন বাড়িতে। মোট মারা যাওয়া ৯ হাজার ৩৮৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৪৩ জন, নারী ২ হাজার ৩৪১ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মারা যাওয়া ৬৬ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৪১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল সরকার। এ বছর ৩১ মার্চ তা নয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। গতবছর ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। মঙ্গলবার ৬৬ জনের মৃত্যু দেশে একদিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যায় সর্বোচ্চ।
এদিকে মাসের শেষের দিকে দেশে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সংক্রমণ ঠেকাতে গতকাল থেকে সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু লাকডাউনে মানুষের ঘরের বাইরে বের হবার প্রবণতা ঠেকাতে যাচ্ছে না। প্রয়োজন অপ্রয়োজন সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে। আবার অনেকে মাস্ক ছাড়াও বের হচ্ছেন।