পশ্চিমবঙ্গে এবার বিধানসভার চতুর্থ দফা ভোটের প্রচারযুদ্ধ

কলকাতা প্রতিনিধি

কয়েক দিন ধরে মমতা প্রকাশ্য বিতর্কের আহ্বান জানাচ্ছেন মোদীকে। তিনি বলেছেন, যে কোনও মঞ্চ বা টিভি চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বিতর্কে বসতে তিনি রাজি। যদি মমতার সঙ্গে মোদী সরাসরি বসতে না চান, তা হলে অন্য কোনও বিরোধী নেতার সঙ্গে এই বিতর্কের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলেও তৃণমূল নেত্রীর প্রস্তাব। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, দলনেত্রীর এই প্রস্তাব মোদী মানবেন না,

জমে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার প্রচারযুদ্ধ। তিন দফার ভোট শেষ হলেও একে অপরের বিরুদ্ধে বাগযুদ্ধে মেতেছে তৃণমূল ও বিজেপি।

ভোট ঘিরে দফায় দফায় রাজ্যটিতে সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চতুর্থ দফার ভোট সামনে রেখে আগামী ১০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে নির্বাচনী সমবেশ করবেন মোদি।

universel cardiac hospital

বসে নেই তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সারাদিন এক জেলা থেকে অন্য জেলা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। রাজ্যটিতে এখনো বাকি ৫ দফার ভোট। নির্বাচন শেষ হবে আগামী ২৯ এপ্রিল। আর ফলাফল ঘোষণা হবে ২ মে।

এর আগে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দিনভর বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলা আর বুথ দখলের মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচনকালীন সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের হিসাব মতে, মঙ্গলবার ভোট পড়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। একই সঙ্গে প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও জানায় কমিশন।

তৃতীয় দফায় ৩১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ২০৫ জন প্রার্থী। নির্বাচনের তৃতীয় দফায় কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলী জেলার ৩১ আসনে ২০৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

এর আগে গত ২৭ মার্চ প্রথম দফা এবং ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হন। আগের দুই দফায় ৬০ এবং তৃতীয় দফায় ৩১ আসনের ভোটগ্রহণ শেষ হলেও পরবর্তী পাঁচ দফায় বাকি ২০৩ আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা করেই ভোট উৎসব শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। আগামী ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৮ দফা শেষে ২ মে প্রকাশ করা হবে ১৭তম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল।

শেয়ার করুন