স্বাগতিকদের উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতল পাকিস্তান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাকিস্তান
পাকিস্তান। ছবি : আইসিসি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশেরই সুযোগ ছিল পাকিস্তানের সামনে। দ্বিতীয় ম্যাচটিতে ফাখর জামান ব্যতীত অন্য ব্যাটসম্যানরা হতাশ করায় মেলেনি জয়। যে কারণে বুধবার শেষ ম্যাচটি হয়ে পড়ে সিরিজের শিরোপা নির্ধারণী। যেখানে স্বাগতিকদের উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান।

ফাখর জামানের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি ও বাবর আজম-হাসান আলিদের ঝড়ে আগে ব্যাট করে ৩২০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছে ২৯২ রানে। ফলে ২৮ রানের জয়ে ২০১৩ সালের পর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের ট্রফি ঘরে তুলতে পেরেছে পাকিস্তান।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৯ ওভারে ৫৪ রান। ওপেনার মারক্রাম ফিরে যান ১৮ রান করে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। একের পর এক ব্যর্থ হন জেজে স্মাটস (১৭), টেম্বা বাভুমা (২০) ও হেনরিখ ক্লাসেনরা (৪)।

তবে এদের মাঝে আবার রানের দেখা পান ওপেনার জানেমান মালান। দলীয় ১২৭ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮১ বলে ৭০ রান করেন জানেমান। পরে ষষ্ঠ উইকেটে ইনিংসের সর্বোচ্চ ১০৬ রানের জুটি গড়েন কাইল ভারনায়েন ও আন্দিল ফেলুকায়ো।

দুজনই তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। আউট হওয়ার আগে ৩টি করে চার-ছয়ের মারে ৫৩ বলে ৬২ রান করেন ভারনায়েন। ফেলুকায়োর ব্যাট থেকে আসে ৩ চার ও ২ ছয়ের মারে ৫৪ রানের ইনিংস। শেষদিকে ড্যারেন ডুপাভিলন ১০ বলে ১৭ রান তুলে পরাজয়ের ব্যবধান কমান।

পাকিস্তানের পক্ষে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফের শিকার ২ উইকেট। মাত্র ৮২ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন বাবর আর তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিতে ৩০২ রান করা ফাখর পেয়েছেন সিরিজসেরার স্বীকৃতি।

এর আগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় স্কোরের ইঙ্গিত দেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল হক এবং ফাখর জামান। দু’জন মিলে গড়েন ১১২ রানের জুটি, ৭৩ বল খেলে ৫৭ রান করে আউট হন ইমাম।

এরপর বাবর আজম আর ফাখর জামান মিলে জুটি গড়ে তোলেন। এই জুটিতে আসে ৯৪ রান। দলীয় ২০৬ রানের মাথায় কেশভ মাহারাজের বলে হেনরিক ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ফাখর জামান। এরই মধ্যে গড়ে ফেলেন নিজের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

ফাখর আউট হওয়ার পর স্কোর বড় করার সংগ্রাম শুরু করেন বাবর আজম। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে। মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হন ২ রান করে। সরফরাজ আহমেদ আউট হলেন ১৩ রান করে। ফাহিম আশরাফ করলেন ১ রান। মোহাম্মদ নওয়াজ আউট হলেন ৪ রান করে।

এরপরই হাসান আলি মাঠে নামেন এবং জুটি বাধেন বাবর আজমের সঙ্গে। শেষ মুহূর্তে এই জুটি খেললো মাত্র ৪ ওভার। উঠলো ৬৩ রান। ১১ বলে একাই ৩২ রান করলেন হাসান আলি। বাবর আজমও চলে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে।

৭ বাউন্ডারি এবং ৩ ছক্কায় যখন সেঞ্চুরি প্রায় করেই ফেলছিলেন, তখন ইনিংসের শেষ বলেই আউট হন তিনি। নামের সঙ্গে যুক্ত করেন ৯৪ রান। খেলেছেন ৮২টি বল। হাসান আলি ১১ বলে ৩২ রান করেছেন ১ বাউন্ডারি আর ছক্কা মেরেছেন ৪টি।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশভ মাহারাজ নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি নিয়েছেন এইডেন মারক্রাম, ১টি করে উইকেট নিয়েছেন আন্দিল পেহলুকাইয়ো এবং জেজে স্মাটস।

শেয়ার করুন