মিয়ানমারে সেনা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারে প্রতিরোধ আন্দোলন
ছবি : ইন্টারনেট

মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়তে শুরু করেছে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি শহরে দেশীয় বন্দুক ও আগুনবোমা নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে তারা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) জান্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন। অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ছ’জন সংসদ সদস্যসহ এক হাজার ৮০০ জন মানুষ ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোমবাতি হাতে নিয়ে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েক শ’ মানুষ। এর আগে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রাস্তায় নামেন শত শত আন্দোলনকারী। সেনা সরকারের দমন-পীড়নকে সমর্থন দেয়ায় চীন ও রাশিয়ার জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।

গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সেনাবাহিনী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর থেকে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সোচ্চার সাধারণ মানুষ। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে প্রতিদিনই ঝরছে প্রাণ। এত দিন নিরস্ত্র আন্দোলন করে এলেও এবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় দেশীয় অস্ত্র হাতে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। কিন্তু তাদের ওপর সরাসরি গ্রেনেড ও মেশিনগান দিয়ে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। এতে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন।

এদিকে, অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ছয় আইন প্রণেতাসহ প্রায় ২ হাজার বার্মিজ নাগরিক ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনা সরকারের হাতে গ্রেফতার এড়াতে ও প্রাণে রক্ষা পেতে তারা প্রতিবেশী দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

অন্যদিকে, লন্ডনে মিয়ানমারের দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত কিয়াও জোয়ার মিনকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক শ’ গণতন্ত্রপন্থী। এ সময় মিয়ানমারের গৃহবন্দি নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবি জানান তারা।

শেয়ার করুন