করোনায় আরও ৬৩ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৭৪৬২

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের দাফন
ফাইল ছবি

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৩ জন মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করে আরও ৭ হাজার ৪৬২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত এক দিনে মৃত ৬৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৯ হাজার ৫৮৪ জনের মৃত্যু হলো। আর নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন হয়েছে।

universel cardiac hospital

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫১১ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী। নতুনদের নিয়ে মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪১ জনে।

বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল সরকার।

এ বছর ৩১ মার্চ তা নয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার একদিনে ৭৪ জনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। আজ মৃত্যুর সংখ্যাটা কমে এসেছে।

এছাড়া সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পর এ বছর মার্চের শেষে প্রথমবারের মত দেশে এক দিনে পাঁচ হাজারের বেশি রোগী শনাক্তের খবর আসে। এর মধ্য দিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৯ মার্চ ছয় লাখ ছাড়িয়ে যায়। এরপর মাত্র এক সপ্তাহে সেই তালিকায় যোগ হয়েছে আরও অর্ধলক্ষ নাম।

দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা গতকাল সাত হাজারের নিচে নামলেও আজ সেই সংখ্যাটা আবারও সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ২৪৩টি ল্যাবে ৩১ হাজার ৬৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ৪১২টি নমুনা।

নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ আর নারী ২০ জন। তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে।

মৃতদের মধ্যে ৩৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং দুই জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

মারা যাওয়া ৬৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪২ জন, চট্টগ্রামের ১০ জন, রাজশাহীর দুই জন, খুলনার তিন জন, বরিশালের ৪ জন এবং সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন করে ছিলেন।

শেয়ার করুন