জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির রেজাউলের সাতদিনের রিমান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির রেজাউল
ফাইল ছবি

রাজধানীর ভাটারা থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ভারপ্রাপ্ত আমির রেজাউল হক ওরফে রেজা ওরফে তানভীর মাহমুদ ওরফে শিহাব আহনাফের (৩৭) সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১১ এপ্রিল) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

universel cardiac hospital

এর আগে শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেজাউল হককে গ্রেফতার করে মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এরপর রাজধানীর ভাটারা থানায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করা হয়।

সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ২০০৫ সালে দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলায়ও রেজাউল হক জড়িত ছিলেন। সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ওই বছর গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সাংগঠনিক কাজে সম্পৃক্ত হন জেএমবির এই ভারপ্রাপ্ত আমির।

তিনি আরও বলেন, জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমিরের পদ ছাড়াও রেজাউল সংগঠনটির দাওয়াহ এবং বায়তুলমাল বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করতেন। তিনি মূলত জেএমবির শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহীনের নির্দেশনায় বর্তমানে সংগঠনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সালেহীন অনেক দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক।

সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, রেজাউল বর্তমানে জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। সংগঠনটির একমাত্র শুরা সদস্যও তিনি। অনেক দিন পর জেএমবির শীর্ষ কোনো নেতা ধরা পড়ল। সর্বশেষ জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার খুরশিদ আলম। ২০১৮ সালের দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান তিনি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, জেএমবির ভারপ্রাপ্ত এই আমিরের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা তদন্তাধীন। বিমানবন্দর ও জিআরপি থানার দুটি মামলার আসামিও তিনি। ওই দুই মামলা আদালতে বিচারাধীন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া রেজাউল পুলিশকে জানান, দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফরের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। সারাদেশে জেএমবির সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদার টাকায় পরিচালিত কথিত বায়তুলমাল তত্ত্বাবধান করেন রেজাউল। এরই মধ্যে জেএমবির সদস্য কারাবন্দি তাদের পরিবারকে প্রায় নিয়মিত অর্থ সহায়তা করে আসছেন তিনি। বিভিন্ন সময় অনলাইনের মাধ্যমে সারাদেশের জেএমবি সদস্যদের মাঝে উগ্র মৌলবাদী বিষয় নিয়ে বক্তৃতা দিতেন রেজাউল।

শেয়ার করুন