মিয়ানমারের বাগোতে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নে একদিনেই ৮২ জনের বেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে শনিবার দিনভর শহরটির বিভিন্ন প্রান্তে সশস্ত্র অভিযান চালানো হয়। এরমধ্যেই, দেশটির পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র আদিবাসীগোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ১০ পুলিশ নিহত হয়েছেন।
দেশটিতে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় এবং অতর্কিত গুলির প্রতিবাদে ওই হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। বিবিসি ও রয়টার্স জানায় শনিবারও মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে দিনভর অব্যাহত ছিল জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ।
মিয়ানমারজুড়ে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই শনিবার দেশটির বাগো শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর সশস্ত্র অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
এ সময়, বিক্ষোভকারীদের দমনে গুলির পাশপাশি গ্রেনেডও ছোড়া হয় বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যম। বাড়িতে বাড়িতে চলে তল্লাশি অভিযান। এতে, একদিনেই অন্তত একশ বিক্ষোভকারী নিহতের খবর জানিয়েছে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন। তবে, গ্রেফতার আতঙ্কে অনেকেই পুলিশ আসার আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে দেরি হয় বলেও জানায় তারা।
এর মধ্যেই, মিয়ানমারের শান প্রদেশের নংমোন অঞ্চলের একটি পুলিশ স্টেশনে সশস্ত্র আদিবাসী গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ১০ পুলিশ নিহত হয়েছেন।
যদিও, স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে এ সংখ্যা ১৪ বলা হলেও এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দেশটিতে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশের অতর্কিত গুলির প্রতিবাদে ওই হামলা চালানো হয় বলে স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
হামলাকারীদের সঙ্গে বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মির যোগসূত্র রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে, শনিবারও মিয়ানমারের প্রধান শহরগুলোতে অব্যাহত ছিল জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ। এ সময়, অভ্যুত্থানবিরোধী ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে জান্তাবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। একইসঙ্গে, দেশটির নেত্রী অং সান সুচির মুক্তির দাবিও জানান তারা।