‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সক্রিয়’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সক্রিয় আছে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন, তারা ২০১৩/১৪ সালেও এভাবে বাস-ট্রেন ও স্টেশনে আগুন দিয়েছে। এই শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। আর যারা এগুলোর সঙ্গ জড়িত, অবশ্যই সরকার তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

রেলমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ২১ বছর। প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলার মামলা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতেও আমাদের সময় লেগেছে। সুতরাং তাদের বিচার অবশ্যই হবে।

তিনি আরও বলেন, একই শক্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সক্রিয় আছে। এখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাইরের লোক আসছে কিনা তাও তদন্ত করে বের করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভেতরের লোকও যদি থেকে থাকে তাও তদন্ত করে বের করতে হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। স্টেশনসহ রেলওয়ের সবকিছু পুড়িয়ে দিয়েছে তা ঠিক করতে সময়ের প্রয়োজন। সিগন্যাল ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। এগুলো আমরা দ্রুত চেষ্টা করব ঠিক করতে। দ্রুত কাজ করে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদরাসাছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। ২৬ মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারী। পুড়িয়ে দেয়া হয় রেলস্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেলসহ যাবতীয় মালামাল। এরপর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ রয়েছে।

এ সময় পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌরমিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। এই ঘটনায় নিহত হয় ১২জন।

শেয়ার করুন