করোনার ক্ষত বুকে নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি। আবার এটি বাংলা বর্ষ ও বসন্ত ঋতুর শেষ দিনও। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে আজকের বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানাবে বাঙালি। আগামীকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। এদিন থেকে শুরু হচে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪২৮।
আবহমান বাংলার চিরায়ত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। কথিত আছে চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলা বছরের এই দিনটিকে পুণ্য দিন বলে মনে করেন। চৈত্র সংক্রান্তিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্নান, দান, ব্রত ও উপবাসের মধ্য দিয়ে পালন করেন।
বছর বিদায়ের উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরাও। শুচি-শুদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। আগের পুরোনো সব জঞ্জাল পরিষ্কার করেন। পুরোনো সব হিসাব চুকিয়ে নতুন খাতা খোলেন। নতুন বছরের প্রথম দিনে আয়োজন করেন হালখাতা অনুষ্ঠানের।
দেশের বিভিন্ন স্থানে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা উপলক্ষে গৃহস্থরা মেয়ের জামাইকে দাওয়াত করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। নতুন পোশাক পরিধানের রীতি তো বহু আগের। তবে এবারও দ্বিতীয়বারের মতো করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পয়লা বৈশাখসহ সব ধরনের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সারাদেশে আগামীকাল ১৪ এপ্রিল অর্থাৎ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন থেকেই সাতদিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ঘোষিত প্রথম দফার লকডাউন ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এই অবস্থায় চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না। থাকবে না উৎসবের আমেজ।