বিশ্ব মুমিন-মুসলমানের দ্বারে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের সওগাত নিয়ে আবারও সমাগত সাম্য, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব, মানবিকতা, ত্যাগ, সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস মাহে রমজান। মুসলমানদের জীবনে রমজান মাস আল্লাহ তায়ালার দয়া, ক্ষমা ও পাপমুক্তির এক সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করে। এই মাসের শবে কদরে নাজিল হয়েছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন যা সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। এই কারণেও এই মাসের মর্যাদা ও তাৎপর্য অপরিসীম। আমরা পুণ্যময় রমজানের এই শুভাগমনকে স্বাগত জানাই।
মাহে রমজানে রোজা পালন মানুষকে দানশীলতা, বদান্যতা, উদারতা ও মহত্ত্বের শিক্ষা দেয়। কোনো প্রকার অপচয় না করে রোজার মাসে মানুষের সেবায় দান-সাদকা করলে অভাবক্লিষ্ট মানুষের কল্যাণ হয় এবং মানবতা উপকৃত হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) সমগ্র মানবকুলের মধ্যে সর্বাধিক উদার ও দানশীল ছিলেন। যখন রমজান মাস আসত তখন তাঁর দানশীলতা বহুগুণ বেড়ে যেত।
- আরও পড়ুন >> মোহাম্মদী ইসলাম ও (তথাকথিত) হেফাজতে ইসলাম
এ বছর রমজান এমন একটি সময়ে আমাদের মাঝে সমাগত যখন মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করছেন বিশ্বের অসংখ্য মানুষ। বাংলাদেশেও এই মহামারি দ্বিতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডব চলমান। এমতাবস্থায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। যার ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দেশের নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণি। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এসব অসহায় রুটি-রুজিহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে সহযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আমরা সমাজের বিত্তবানদের আহ্বান জানাব- সরকারের পাশাপাশি আপনারাও এগিয়ে আসুন। কারণ এই সময়ে মানুষের জীবন বাঁচানোটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।একই সঙ্গে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বানও জানাচ্ছি। আশা করি- বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে দেশ ও দেশের সাধারণ জনগণ।
রমজানের রোজা অনুভব করায় ক্ষুধার্ত ও বঞ্চিত মানুষের কষ্ট। শিক্ষা দেয় মিতব্যয়িতার। ভোগ নয়, ত্যাগের আদর্শে আমাদের উদ্দীপ্ত করে। আল্লাহ তায়ালা সঠিকভাবে আমাদের রমজানের রোজা এবং যাবতীয় সুন্নাত ও নফল ইবাদত ঘরে বসে পালনের তাওফিক দিন। আমিন।