ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৬ থেকে ২৭ মার্চ টানা তিনদিন হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের তাণ্ডব ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় হওয়া মামলায় এখন পর্যন্ত ২০৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের ১৬ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ অভিযানে নতুন করে আরও ৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চে তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৫টি, আশুগঞ্জ থানায় ৩টি ও সরাইল থানায় ২টি ও রেলওয়ে থানায় ১টিসহ মোট ৫১ টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২৮৮ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করছে।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। ২৬ মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারী। পুড়িয়ে দেয়া হয় রেলস্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেলসহ যাবতীয় মালামাল। এরপর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ রয়েছে।
এ সময় পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌরমিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা।