মিয়ানমারে ক্ষমতা দখলকারী জান্তাদের উৎখাত করে দিতে একটি ‘জাতীয় ঐক্য সরকার’ গঠন করেছেন আত্মগোপনে থাকা সংসদ সদস্যরা। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দেশটির নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিকে প্রধান করে এ সরকার গঠনের কথা ঘোষণা দেওয়া হয়।
জাতীয় ঐক্য সরকারে যুক্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতারাও। ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট নামে এ সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন অং সান সু চি। তাকে স্টেট কাউন্সেলর পদে রেখে এর প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে উইন মিন্টকে। সু চি ও উইন মিন্ট দু’জনেই এখন বন্দি রয়েছেন। খবর রয়টার্সের
শুক্রবার সু চির দলের এমপিদের গঠন করা দ্য কমিটি রিপ্রেজেন্টিং পাইডাংসু হ্লুটাও (সিআরপিএইচ) তাদের সরকারের নেতাদের নাম ঘোষণা করেছে। এতে ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে একজন কাচিন এবং প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে একজন কারেন নেতাকে। সিআরপিএইচ-এর অফিসিয়াল ফেসবুকে একজন প্রভাবশালী নেতা এ নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সরকার গঠন করেছি, যার মধ্যে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
জাতীয় ঐক্য সরকারের সরকারের মন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন চিন, শান, সোম, কারেন এবং তা আং জাতিগোষ্ঠীর শীর্ষস্থানীয় নেতারা। ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলের ভিত্তিতে দেশটির সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে সশস্ত্র বিদ্রোহী দলগুলোসহ দেশব্যাপী অভ্যুত্থানবিরোধী রাজনীতিবিদদের মধ্য থেকে এদের বেছে নেওয়া হয়েছে।
ওই প্রভাবশালী নেতা বলেন, আমাদের এটিকে মূল থেকে টেনে আনতে হবে। আমাদের অবশ্যই তাদের নির্মূল করার চেষ্টা করতে হবে। আর কেবল জনগণই ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এদিকে জান্তারা বলছে, সিআরপিএইচ-এর সঙ্গে যারা কাজ করছে, তারা দেশদ্রোহী। এদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এদের বেশির ভাগই এখন নতুন ‘জাতীয় ঐক্য সরকার’ এর বিভিন্ন পদে রয়েছেন।
মিয়ানমারে ১৩০ টিরও বেশি সরকারি জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী রয়েছে।