শিরোপাখরা কাটাল স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। প্রায় দুই বছরের অপেক্ষার স্পেনের ঘরোয়া ফুটবলের দ্বিতীয় মর্যাদার আসল কোপা দেল রে’তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা। তার অধীনে বার্সেলোনার এটিই প্রথম শিরোপা।
শনিবার রাতে সেভিয়ার মাঠে অ্যাটলেটিকো বিলবাওয়ের বিপক্ষে ৪-০ গোলের বড় জয়ে শিরোপা নিজেদের করেছেন লিওনেল মেসি, অ্যান্তনিও গ্রিজম্যানরা। দলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন মেসি, গ্রিজম্যান-ডি ইয়ংয়ের অবদান একটি করে গোল। এছাড়া জোড়া এসিস্টও করেছেন ডি ইয়ং।
কোপা দেল রে’তে এটি বার্সেলোনার রেকর্ড ৩১তম শিরোপা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ বার এই শিরোপা জিতেছে বিলবাও। তাদের সামনে সুযোগ ছিল সপ্তাহের ব্যবধানে আরও দুইবার কোপা দেল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। কিন্তু দুইবারই ফাইনালে হেরে খালি হাতে ফিরতে হলো বিলবাওকে।
তাদের কাছে ফাইনাল হেরেই গত মৌসুমের স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল বার্সেলোনার। এবার কোপা দেল রে’তেও প্রায় একই পথে হাঁটছিল কাতালান ক্লাবটি। ম্যাচের প্রথমার্ধে ৮৮ ভাগ সময় বলের দখল রেখেও গোলের দেখা পায়নি বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল মিসের মহড়ায় নাম লেখান গ্রিজম্যান, বুসকেটস, জর্দি আলবারা। বিশেষ করে একদম খালি পোস্ট পেয়েও বল জালে ঢোকাতে পারেননি বুসকেটস। গ্রিজম্যান, আলবাদের সামনেও ছিল গোলের সহজ সুযোগ। কিন্তু কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেননি তারা।
অবশেষে ম্যাচের ৬০ মিনিট থেকে শুরু হয় বার্সেলোনা ১২ মিনিটের ঝড়। সেই ঝড়েই নিশ্চিত হয়ে যায় শিরোপা। প্রথমে ৬০ মিনিটের সময় ডি ইয়ংয়ের ডানদিক থেকে আসা ক্রসে পা লাগিয়ে গোলের তালা ভাঙেন গ্রিজম্যান। মিনিট তিনেক পর আলবার পাসে ডি ইয়ং নিজেই করেন দ্বিতীয় গোল।
এরপর শুরু মেসি জাদুর। ম্যাচের ৬৮ মিনিটের সময় নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে উঠে যান মেসি। সতীর্থ খেলোয়াড়ের সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে ঢুকে যান প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে। ছয় গজের বক্সের মাথা দুরহ এক শটে জাল কাঁপান মেসি।
পরে ম্যাচের ৭২ মিনিটের সময় আলবার এগিয়ে দেয়া পাস ধরে স্কোরলাইন ৪-০ করেন বার্সা অধিনায়ক। শেষদিকে অবশ্য আরও একটি গোল করেছিলেন গ্রিজম্যান। কিন্তু সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। তবে এতে বার্সার শিরোপা উৎসবে কোনো সমস্যাই হয়নি।
সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করলে কোনো ক্যাপশন দেন না মেসি। তবে এবার শিরোপা জেতার পর চারটি ছবি আপলোড করে মেসি লিখেছেন, ‘এটি একটি খুব কঠিন কাপ ছিল এবং এই আনন্দ আমাদের প্রাপ্য ছিল! চ্যাম্পিয়নস!’