ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) শনিবার রাতের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৩ রানে হারিয়ে চলতি আসরে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এদিন ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৫০ রান তুলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে খেলতে নেমে ১৯.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে থামে অরেঞ্জ আর্মিদের ইনিংস।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। কুইন্টন ডি কককে সঙ্গে নিয়ে প্রথম উইকেটে ৫৫ রান তুলে দেন মুম্বাই অধিনায়ক। তবে এরপর ব্যক্তিগত ৩২ রানে আউট হন রোহিত। ডি কক করেন ৪০ রান।
যদিও সূর্যকুমার যাদব, ঈশান কিশন ও হার্দিক পান্ডিয়ারা বড় রান করতে পারেননি। ফলে একটা সময় ১১৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় পাঁচ বারের আইপিএল জয়ী দল। কিন্তু শেষ দিকে দলের কাছে ত্রাতার ভূমিকা নিয়ে ২২ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন কাইরন পোলার্ড। তাঁর মারকুটে ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫০ রান তোলে মুম্বাই।
হায়দরাবাদের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান।
১৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা দুর্দান্ত করেন হায়দরাবাদের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো। বেয়ারস্টো ঝড়ে পাওয়ার প্লে’তে হায়দরাবাদ পেয়ে যায় বিনা উইকেটে ৫৭ রান। অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার একপ্রান্ত আগলে রেখে যেন দর্শকের ভূমিকায় দেখছিলেন বেয়ারস্টো তাণ্ডব।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর অতি আক্রমণাত্মক হওয়ার মাশুল গুনতে হয় বেয়ারস্টোকে। ক্রুনালের করা ইনিংসের অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে হিট আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ২২ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৪৩ রান করেন তিনি। এরপর রীতিমতো খোলসের মধ্যে ঢুকে যায় হায়দরাবাদের ইনিংস। প্রথম ছয় ওভারে ৫৭ রান করা দলটি পরের ৪ ওভারে নিতে পারে মাত্র ১৭ রান।
মানিশ পান্ডে ৭ বল খেলে মাত্র ২ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। ইনিংসের ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে পয়েন্ট অঞ্চলে পান্ডিয়ার হাতে রেখে এক রান নিতে চেয়েছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু পান্ডিয়ার সরাসরি থ্রো’তে সমাপ্তি ঘটে তার ৩৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংসের।
এরপর ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি কেউই। শেষদিকে বিজয় শঙ্কর জয়ের ক্ষুদ্র প্রয়াস চালালেও তা আর সম্ভব হয়নি।