‘আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে লকডাউন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

লকডাউন
প্রতীকী ছবি

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারাদেশে আরও এক সপ্তাহ ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তাভাবনা করছে।’

সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া ভিডিওবার্তায় এসব কথা বলেন কাদের।

এর আগে, রোববার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে আরও এক সপ্তাহের জন্য ‘কঠোর লকডাউন’ আরোপের সুপারিশ করে কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। প্রস্তাবিত এই লকডাউন শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ারও পরামর্শ দেয় কমিটি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মার্চের শুরুতে এসে যা তীব্র আকার ধারণ করে। সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাত দিনের জন্য ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ শুরু হয়। ১১ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এই বিধিনিষেধ চলে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত।

এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার, যা চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।

পরামর্শক কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল।

কমিটি মনে করে, ‘বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না।’

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চালু রাখার বিষয়ে কমিটি বলে, ‘দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারি দফতর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে।’

সে কারণে লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যসেবা, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। খোলা রাখা যাবে এমন জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশেরও অনুরোধ জানিয়েছে কমিটি।

শেয়ার করুন