করোনার প্রকোপ কমাতে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। চলমান বিধিনিষেধ এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের ফলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট চলাচলও আরও এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। ২১ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো শিডিউল ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
ফ্লাইট চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আমরা ফ্লাইট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে লকডাউনের এই সময়ে অনুমতি নিয়ে কার্গো প্লেন, স্পেশাল/চাটার্ড ফ্লাইট, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারবে। এছাড়াও প্রবাসীদের আনা-নেয়ার জন্য সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কাতার ও ওমানের বিশেষ ফ্লাইটগুলো আগের মতোই চলবে।
সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যে গত ৫ এপ্রিল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেবিচক। এরপর এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে, ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধিসহ বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।
করোনার প্রকোপ কমাতে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। সে হিসেবে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলের বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। করোনার বিষয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লকডাউন বাড়ানোর প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন পাওয়ার পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরামর্শক কমিটি লকডাউনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। বৈজ্ঞানিকভাবেই ১৪ বা ১৫ দিন লকডাউন না হলে সংক্রমণের চেইনটা পুরোপুরি ভাঙা সম্ভব হয় না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আগের শর্ত মেনে লকডাউন চলবে।