ক্ষমতায় যেতে হলে বিএনপিকে জনগণের কাছে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন জনকল্যাণের রাজনীতিই বেশি প্রয়োজন।
বুধবার সকালে খুলনা সড়ক জোন বিআরটিসি, বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
দুর্যোগ ও সংকটে লিপ সার্ভিস না দিয়ে বিএনপিকে জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র এদেশের রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। রাষ্ট্রের প্রতিটি অর্জনকে তারা অপপ্রচার আর অন্ধ সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের রাজনীতি নেতিবাচক ধারা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতায় পুষ্ট। দেশ ও সমাজের গৌরবের দিনগুলো তারা বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করেছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জনগণের সমর্থন না পেয়ে ক্ষমতায় যেতে তারা খোঁজেন অন্ধকারের চোরাগলি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জাতির সোনালী অর্জনগুলোকে কালিমালিপ্ত করে তারা পরাজিত পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশের রাজনীতিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। যা এখন আর সম্ভব নয়, জনগণও তা আর হতে দেবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জনমুখী রাজনীতি এবং উন্নয়নের রাজনীতি কথা-সর্বস্ব দলগুলোকে সংকটে ফেলেছে, তাদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাসের পথরেখায় ফেলেছে অন্ধকারের ছায়া।
অনুষ্ঠানে লকডাউনের কারণে কর্মহীন অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষ এবং ছিন্নমূল, ভাসমান মানুষদের সহায়তা করার জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও সমাজের সামর্থবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, এছাড়াও সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এজন্য সরকারের ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
যশোর- খুলনা মহাসড়কের নোয়াপাড়া থেকে যশোরের দিকে যেতে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাস্তা শুধু করলেই হবে না, তার রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে।
খুলনা-মংলা সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ মংলা পোর্টের কারণে এ সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা খুবই জরুরি। সেজন্য সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।
প্রকৌশলীদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বর্ষার সময় হাত গুটিয়ে বসে না থেকে চলমান কাজের তদারকির পাশাপাশি নতুন কাজসমূহের টেন্ডার আহ্বানসহ প্রয়োজনীয় কাজ এগিয়ে নিতে হবে। যাতে বর্ষার পর পরই কাজ শুরু করা যায়।