করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষতি দ্রুত কাটাতে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি, অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং ভবিষ্যতের সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্ব ব্যাংকের কাট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন।
উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটির ৭৫ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে তৃতীয় ও শেষ কিস্তিতে এ অর্থ পাবে বাংলাদেশ বলে বিশ্ব ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এ কর্মসূচির আওতায় গুনগত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হবে। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় সরকারের কার্যক্রমে সহায়তার সুযোগ থাকবে।
এ ছাড়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নীতি ও কাঠামোর আধুনিকায়ন, কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তার উন্নয়ন, তরুণ, নারী ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের মানসম্মত কাজ পাওয়ার জন্য এই অর্থায়ন ব্যয় করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের বোর্ড সভায় গত বছর ২৬ জুন এই ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়। সংস্থার সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইডিএ এই ঋণ দেবে। এর আগে ২৫ কোটি ডলার করে দুই কিস্তিতে ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে অর্থ ছাড় হয়। ৩০ বছর মেয়াদের এই ঋণের গ্রেস পিরিয়ড পাঁচ বছর।
বাজেট সহায়তার এই ঋণ কর্মসূচি ৫০ লাখ কর্মসংস্থান রক্ষায় সহায়তা করেছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন দেওয়ার বেলাতেও ভূমিকা রেখেছে। অভিবাসী জনশক্তিসহ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারাও এর সুফল পেয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চুক্তি সইয়ের পর ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, “মহামারিকালে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের সঙ্কট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসা-উদ্যোগের সুরক্ষার কার্যক্রমও চলছে। এই কর্মসূচি কর্মসংস্থান রক্ষা এবং লাখো গরীব মানুষের আয় বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।”
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, কোভিড- ১৯ মহামারী দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণদের জীবন ও জীবিকায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়া ক্ষতিগ্রস্তদের রক্ষায় সরকারের আর্থিক সহায়তায় এই কর্মসূচি সহায়ক হবে। পাশাপাশি আরও বেশি মানসম্মত কাজের ক্ষেত্র তৈরিতে সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশের উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তা সহায়ক হবে।