দগ্ধ ২০ জনের শ্বাসনালী পুড়েছে, ৪ জন আইসিইউতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আরমানিটোলায় রাসায়নিকের গুদামে আগুন
সংগৃহীত ছবি

পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ভবনের রাসায়নিক গুদামে লাগা আগুনে দগ্ধদের মধ্যে ২০ জনের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন একই পরিবারের সদস্য। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা দগ্ধ ২১ জনের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।

বাকি ১৬ জন বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি। ভর্তি ২০ জনের ১৫-২২ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন একজন।

দগ্ধদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- খোরশেদ আলম, লায়লা বেগম, আশিকুজ্জামান, তার স্ত্রী ইসরাত জাহান মুনা, শ্বশুর ইব্রাহিম সরকার, শাশুড়ি সুফিয়া বেগম, শ্যালক জুনায়েদ, মোস্তফা, ইউনুস মোল্লা, সাকিব হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, সাফায়েত হোসেন, দেলোয়ার হোসেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তন্ময় প্রকাশ ঘোষ এসব কথা জানান। তিনি বলেন, দগ্ধদের মধ্যে চিকিৎসা নিতে আসা ২১ জনের মধ্যে ২০ জনের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আশিকুজ্জামান, ইসরাত জাহান মুনা, সাফায়েত হোসেন ও খোরশেদ আলম নামে চারজন আইসিইউতে ভর্তি আছেন। মোস্তফা নামে একজন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। বাকি ১৬ জন বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে ভবনটির রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুনে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া যায়। তারা হলেন ইডেন মহিলা কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার, ভবনটির দারোয়ান রাসেল মিয়া এবং নিরাপত্তাকর্মী ওলিউল্লাহ ব্যাপারী।

প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ জানা যায়নি। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। কমিটিকে ১০-১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন