স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেছেন, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কোভ্যাক্স থেকে ১ লাখ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ। ফাইজারের এই টিকার বিষয়টি ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা জানিয়েছে বেক্সিমকো।
রোববার (২৫ এপ্রিল) বেলা পৌনে ২টায় বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজিত এক আলোচনা সভার পরে মহাপরিচালক সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
করোনা প্রতিরোধে দরিদ্র এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে বৈশ্বিক উদ্যোগ হলো কোভ্যাক্স। এই উদ্যোগে প্রথম টিকা পেয়েছে আফ্রিকার দেশ ঘানা। কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে বিশ্বের ১৯৮টি দেশ অংশ নিয়েছে।
তিনি বলেন, চীনের সিনোফার্ম থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া ৫ লাখ টিকাও গ্রহণ করা হবে। তবে প্রয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় কমিটি।
দেশে ভারতের ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো নিশ্চিত খবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই।
এছাড়া, জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া ভারতের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এবিএম খুরশীদ আলম।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি টিকা তৈরির উপাদান ভারতে রপ্তানির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে টিকা তৈরির ক্ষেত্রে সংকটে পড়েছে ভারত। পাশপাশি ভারতে চলমান টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করতেও টিকা রপ্তানিতে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে দেশটির সরকার। ফলে ভারতের কাছ থেকে সময়মতো প্রতিশ্রুত টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার গুঞ্জন ওঠে।