শুরুতে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল ভিয়ারিয়াল। যদিও বেশিক্ষণ সেই আনন্দ থাকেনি, এক মিনিট পরই সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। যে আতোঁয়া গ্রিজমানের গোলে খেলায় ফিরেছিল, সেই তার লক্ষ্যভেদেই ভিয়ারিয়ালের মাঠ থেকে ২-১ গোলে জিতে ফিরেছে বার্সেলোনা। যে জয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পেয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ধরে ফেলেছে কাতালানারা।
লা লিগায় ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে জিতে ৩২ ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭১। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলা রিয়ালের পয়েন্টও সমান। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় মাদ্রিদের ক্লাবটির অবস্থান দুয়ে, আর বার্সেলোনা রয়েছে তিন নম্বরে। ৩২ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
অক্টোবরে প্রথম দেখায় নিজেদের মাঠে বার্সেলোনা ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ভিয়ারিয়ালকে। কিন্তু ফিরতি লেগের ম্যাচটি জিততে তাদের কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। নিজেদের মাঠে ১০ জনের দল নিয়েও ভিয়ারিয়াল কম চেষ্টা করেনি। যদিও এগিয়ে গিয়েও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
ভিয়ারিয়ালের স্প্যানিশ কোচ উনাই এমেরির দুর্ভাগ্য। তার কোচিং ক্যারিয়ারে বিভিন্ন দলের হয়ে বার্সার বিপক্ষে আগের ২৬ ম্যাচের বিপক্ষে মাত্র দুটিতে জয় ছিল। ২৭তম ম্যাচে এসেও হারের তিক্ত স্বাদ নিতে হলো ৪৯ বছর বয়সী কোচকে।
ম্যাচের শুরু থেকে বার্সেলোনা আধিপত্য দেখাতে থাকে। একের পর এক আক্রমণ গড়ে প্রতিপক্ষকে রেখেছে তটস্থ। তবে মেসি-গ্রিজমান-ইয়ংদের প্রচেষ্টা সফল হতে দেননি গোলকিপার সের্হিয়ো আসেনহো। বরং ডিফেন্স জমাট রেখে প্রতিআক্রমণে উঠে ২৬ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরাই।
পল তোরেসের পাস থেকে আগুয়ান গোলকিপার মার্ক অ্যান্ড্রে-টের স্টেগেনকে কাটিয়ে ক্ষীপ্রগতিতে নিখুঁত শটে নাইজেরিয়ান স্যামুয়েল চুকুজে লক্ষ্যভেদ করেন। জেরার্দ পিকে শেষ চেষ্টা করেও গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করতে পারেননি।
তবে তাদের এই আনন্দ স্থায়ী ছিল মাত্র এক মিনিট। ভিয়ারিয়ালের সব প্রতিরোধ ভেঙে ২৮ মিনিটে বার্সেলোনা ম্যাচে সমতা ফেরায় ফরাসি তারকা গ্রিজমানের চমৎকার গোলে। মাঝমাঠ থেকে অস্কার মিনগেসার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে চমৎকার চিপে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জড়িয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড।
বার্সাকে এগিয়েও নিয়েছেন এই গ্রিজমানই। তবে এজন্য ভিয়ারিয়ালের রক্ষণের বড় দায়। ৩৫ মিনিটে ডিফেন্ডার হুয়ান ফয়ত ব্যাক পাস করেছিলেন গোলকিপারের উদ্দেশ্যে, কিন্তু সেখানে ফাঁকায় বল পেয়ে গ্রিজমানের গোল করতে ভুল করেননি। লিগে বিশ্বকাপ জয়ী তারকা পেলেন ১১তম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ চালিয়েছে বার্সেলোনা। কাতালানদের তেমনই এক আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে লিওনেল মেসিকে ফাউল করে বসেন মানু তিরিগেরোস। বাজেভাবে মেসির পায়ে আঘাত করায় তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। একজন কম নিয়ে খেলায় ভিয়ারিয়াল আসলে তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। যদিও বার্সেলোনাকে আর ব্যবধান বাড়াতে দেয়নি স্বাগতিকরা।