হেফাজতের কমিটি ‘নাটক’: পাঁচ সদস্যের ৪জনই বাবুনগরীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

হেফাজতে ইসলাম
হেফাজতে ইসলাম। ফাইল ছবি

হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন নিয়ে শেষ হচ্ছে না নাটকীয়তা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্তের ৩ ঘণ্টার মধ্যেই মধ্যরাতে আবার আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ঘোষণা। এ নিয়েও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। পাঁচ সদস্যের এই আহ্বায়ক কমিটির ৪জনই আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।

এ অবস্থায় নতুন এই নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রোজার পর নতুন কমিটি গঠন করতে যাচ্ছেন আল্লামা শফির অনুসারীরা। হেফাজতের এই কমিটি বিলুপ্ত করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের চাপ ছিল এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন চট্টগ্রামের রেঞ্জ ডিআইজি।

রোববার (২৫ এপ্রিল) রাতজুড়েই ছিল বহুল আলোচিত হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন নিয়ে চরম নাটকীয়তা। দিনভর পুলিশ কর্ডনে থাকার পর রাত সোয়া ১১টায় হঠাৎ করে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বর্তমান কমিটি বিলুপ্তের ঘোষণা দেন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।

কিন্তু তার দুই ঘণ্টা পর আবারও তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ভোর ৩টার দিকে আহ্বায়ক কমিটিতে আরও দুজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অভিযোগ উঠেছে ৫ সদস্যের এই আহ্বায়ক কমিটির চারজনই আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।

অভিযোগ উঠেছে, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা আহমদ শফির হত্যা এবং সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার এড়াতেই জুনায়েদ বাবুনগরী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হন। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাপ ছিল বলে অভিযোগ উঠে। তবে তা অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।

এ অবস্থায় ঈদের পরই আহমদ শফির অনুসারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আল্লামা আহমদ শফীকে সংগঠনের পদ ছাড়ার পাশাপাশি চরম অপমানের মধ্যদিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসা ছাড়তে বাধ্য করেন জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারীরা। এরপর তড়িঘড়ি করে বিশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে হেফাজতের কর্তৃত্ব নেন জুনায়েদ বাবুনগরী ও মামুনুল হক।

শেয়ার করুন