হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুনায়েদ বাবুনগরী, মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও নুরুল ইসলাম
জুনায়েদ বাবুনগরী, মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও নুরুল ইসলাম

আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম। রোববার মধ্যরাতে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির করে এ কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর আগে রাত ১১টার দিকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন বাবুনগরী।

কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে। আর এতে মহাসচিব হয়েছেন নুরুল ইসলাম। এ তিন সদস্যের কমিটি শিগগির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করবে।

universel cardiac hospital

হেফাজতে ইসলামের ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, উপদেষ্টা কমিটির পরামর্শেক্রমে এ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটি বিলুপ্ত করে বাবুনগরী বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেতার পরামর্শে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। আগামীতে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে সংগঠন পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করে হেফাজতে ইসলাম। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালের কারণে নতুন এ কমিটি করেছিলো হেফাজত। এরপর ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী মারা গেলে নায়েবে আমির মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদীকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দিয়েছিলো হেফাজত। আজ ২৫ এপ্রিল রাতে সংগঠনটির দ্বিতীয় এই কমিটি বিলুপ্ত করলেন আমির বাবুনগরী।

এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনের বিরোধিতা করে দেওয়া হেফাজতের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত মার্চের ২৫, ২৬ ও ২৭ তারিখ দেশজুড়ে যে সহিংস ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৭ জন মানুষের প্রাণহানি হয়। পরে গত ১১ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন মামলায় হেফাজতের নেতাদের গ্রেফতার শুরু করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। রবিবার পর্যন্ত হেফাজতের কেন্দ্রীয় অন্তত ১৬ জননেতা ও সারাদেশে অন্তত দুই শতাধিক নেতা, কর্মী ও সমর্থক গ্রেফতার হয়েছে।

শেয়ার করুন