সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে বিকল ট্রলারে ভাসতে থাকা ৩০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এদের মধ্যে ২০ জন নারী, ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন শিশু রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের বড়ডেইল সৈকত থেকে ট্রলারসহ তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃতরা হলেন- জায়নুব, মো. সালমান, ইসমত আরা, নুরকলিমা, হাসিনা, রাসেদা, আছমা, ছোনোয়ারা, রাবেয়া, রমজানা, দিন খায়াজ, রাইজু, নুর চাদেকা, মোশারফা, রফিকা, নুর ফাতেমা, রোকিয়া বেগম, তসলিমা, ইয়াসমিন, তাসলিমা, মো.হাফসা, আরকান বিবি, চোমুদা খাতুন, সুমাইরা, মো. জমির, আবুল ফোয়েজ, মোস্তেফা, রাসেল, ইউনুস, রায়হান। তারা সবাই উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে কোস্টগার্ড সদর দপ্তর মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার বিএন আমিরুল হক বলেন, উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা গত ২৩ এপ্রিল টেকনাফের বাহারছড়া মেরিন ড্রাইভ এলাকার বড়ডেল ঘাট থেকে একটি ট্রলারে করে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। অতঃপর ২৫ এপ্রিল রাতে সমুদ্রে অবস্থানকালে তারা ডাকাতদের করলে পড়ে। এসময় ডাকাতদল তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং ট্রলারটির ইঞ্জিনটি বিকল করে দেয়। এরপর নৌকাটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সমুদ্রে ভাসতে থাকে।
তিনি বলেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফের বাহারছড়া কোস্টগার্ড স্টেশনের উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং রোহিঙ্গাদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা আরও বলেন, দালালের মাধ্যমে তারা মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল। তবে প্রকৃত দালালের নাম তারা কেউ বলতে পারেনি। উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অফিসের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
কোস্টগার্ডের আওতাধীন এলাকাসমূহে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, ডাকাতি দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে জানান তিনি।