প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি। কোভিড-১৯ এর প্রভাবসৃষ্ট সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা শিল্প, কৃষিসহ মোট ২০টি খাতের অনুকূলে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।
আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ হোক সবার’ সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে তিনি বাণীতে উল্লেখ করেন।
পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা শ্রমিকদের জন্য সুষ্ঠু, শোভন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিসহ তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন ও হালনাগাদ করেছি। আওয়ামী লীগ সরকার ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা ২০১৩’ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫’ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্যোগে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার জন্য পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট নির্মাণে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা শ্রমিকদের চিকিৎসায়, তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কবলিত শ্রমিক পরিবারকে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে নিয়মিতভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করার কোনও বিকল্প নেই।