ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে বলেছেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমি ছাড়াও মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের আরও পাঁচজন এমপি আছেন, কেউ হেফাজতিদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন না। হেফাজতিদের বিরুদ্ধে শুধু আমি একাই প্রতিদিন ফাইট করছি এবং করে যাব ইনশা আল্লাহ। ’
ছাত্রলীগের কঠিন দুঃসময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দুর্দিনের সাথী আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন চৌধুরী নাছিম তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনে এটা তুলে ধরে বলেছেন, ‘কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আওয়ামী লীগ নেতা প্রিয় রবিউল ভাইরে এটাই তো হওয়ার কথা। ছোটকাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে উঠে আসা বিগত ৫৫ বছরে এ দেশের প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামের সম্মুখযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী একজন জীবন্ত কিংবদন্তি।
এবারও হেফাজতে ইসলামের সন্ত্রাসীদের আক্রমণের লক্ষ্য একমাত্র আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য। ’ ’৭৫-পরবর্তী দুঃসময়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ও ছাত্রলীগ পুনর্গঠনে একজন দক্ষ সাহসী সংগঠক এবং তিনি সারা দেশে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের প্রিয় রবিউল আলম চৌধুরী ছিলেন এক মেধাবী অনলবর্ষী বক্তা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উগ্র-সাম্প্রদায়িক হেফাজত বায়তুল মোকাররম থেকে যে সহিংসতা ছড়িয়েছিল হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দানবীয় রূপ নিয়ে লাশের রাজনীতি করেছে। রবিউল আলম আপস করেননি বলে এই তালেবানি শক্তি নিজেদের সব সহিংসতার দায় তার ওপর চাপিয়ে দিয়ে বারবার আক্রমণ করেছে। বলেছে তিনি ছাত্রলীগ-যুবলীগ নিয়ে তান্ডব করেছেন। কিন্তু সব গণমাধ্যমে আসা ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে হেফাজতই তান্ডবের মহাপ্রলয় ঘটিয়েছে, উল্লাস করেছে। চরম প্রতিহিংসা নিয়ে তারা আগুন দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে এবং শাবল দিয়ে জাতির পিতার ম্যুরাল ভেঙেছে।
এ ধর্মান্ধ উগ্র স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছে। ওরা রাষ্ট্রের আদর্শের ওপর আঘাত করেছে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে দিতে দৈত্যের মতোন সন্ত্রাস করেছে। এরা মানব নয় দানব। কথা হলো, এই উগ্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইটা রবিউল আলম চৌধুরীর একার নয়। কাবুল দখলের মতো এরাও রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায় তালেবানি স্টাইলে। নারীর ক্ষমতা, স্বাধীনতা হরণ করে রুদ্ধ করে দিতে চায় তাদের চলাফেরা। এরা মানুষের স্বাধীনতা হরণ করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধের সব আদর্শ ও চেতনার কবর দিতে চায়। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের টাকায় এরা কথা বলে, সন্ত্রাস করে। জামায়াতের টাকা ও প্রভাবে এরা সহিংসতা করে। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন হরকাতুল জিহাদের প্রভাব তাদের ওপর রয়েছে। আর সরকারবিরোধী বিএনপিসহ সবাই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এদের বিরুদ্ধে লড়াইটা একজন রবিউল আলমের নয়। এ লড়াই রাষ্ট্রের, সরকারের, আওয়ামী লীগের এবং মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি লালন ও চর্চা করা প্রতিটি রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং গণমানুষের। এদের উত্থান ঘটলে রবিউল আলম চৌধুরী একাই আক্রমণের শিকার হবেন না। আজ যিনি আওয়ামী লীগ করেন, প্রগতিশীল রাজনীতি করেন সবাই আক্রমণের শিকার হবেন। মানুষের মধ্যে একটা সন্দেহ রয়েছে সরকার না আবার এদের সঙ্গে আপস করে। সরকার ২০১৩ সালের পর থেকে দুধকলা দিয়ে কালসাপ পুষেছে। কিন্তু না, এদের সঙ্গে আর আপস-সমঝোতার কোনো পথ নেই। হেফাজতের কমিটি বাবুনগরী ভেঙে নতুন কমিটি করেছেন। বেফাক মাদরাসায় রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে এ সবই হাস্যকর, নাটক। কৌশল, বাঁচার কৌশল। নিজেদের পরে সুসংগঠিত করার কৌশল। মামুনুলরা রিমান্ডে ভয়ংকর তথ্য দিচ্ছে।
সে একুশের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাকারী খুনিদের সঙ্গে পাকিস্তান গেছে। এক মাস ছিল। এদের শক্তি আশ্রয়-প্রশ্রয়ের উৎস পরিষ্কার। এরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একমাত্র শক্তির প্রতীক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চায়। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, অর্থনীতির বিকাশ স্তব্ধ করে দিতে চায়। মুক্তিযুদ্ধ ওরা মানে না, স্বাধীনতা ওরা মানে না। একাত্তরের পরাজিত পাকিস্তানের মানসিক ও চেতনার দাসত্ব করে এই তালেবানি শক্তি তাই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সব মুছে দিয়ে দেশকে উগ্র সাম্প্রদায়িক জনপদে পরিণত করতে চায়। হেফাজতের কমিটি আর বেফাকের রাজনীতি নিষিদ্ধ মানা যায় না। মাদরাসা শিক্ষাকে অবশ্যই মূলধারার শিক্ষা কারিকুলামে যুক্ত করে সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। নতুন করে নীতিমালা প্রণয়ন ও শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। মাদরাসাকে রাষ্ট্রের আইন-বিধিবিধানের বাইরে আলাদা রাখা যাবে না। সেখানে কোনো সভা-সমাবেশ হবে না এবং শিক্ষকদের মাদরাসায় রাখা যাবে না। ছাত্র বলাৎকারের মতো জঘন্য অপরাধের বিচার করতে হবে এবং এসব ব্যভিচার বন্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ এক যুগ ক্ষমতায় থাকার সুবাদে ক্ষমতার আরাম-আয়েশের মোহে বুঁদ হয়ে আছে। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী-আমলাদের দাপট বেড়েছে।
সুবিধাবাদী আদর্শহীনরা নিষ্ক্রিয় বা নেতৃত্বের বাইরে চলে গেছে। তাই হেফাজতের এমন দানবীয় তান্ডবের মুখেও দল নীরব-নিথর। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কতজন নেতা, মন্ত্রী, এমপি কথা বলেছেন আঙুল হিসাব করে বলা যাবে। নৌকায় এরা কখনো ভোট দেয় না, দেবে না জেনেও এদের বিরুদ্ধে মাঠে ময়দানে গণজাগরণ ঘটেনি। এটা আওয়ামী লীগের আদর্শিক জায়গা থেকে বড় ব্যর্থতা নাকি আওয়ামী লীগ আদর্শিক চরিত্র বদলেছে এ প্রশ্ন আসে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন হেফাজতের বিরুদ্ধে। তবে শক্তভাবে বলেছেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। মন্ত্রীদের মধ্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ও দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ নিয়ত বলছেন। মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমও বলেছেন। দলের আর নেতা, মন্ত্রী, এমপিরা কোথায়? সবাই সমন্বিতভাবে একযোগে কণ্ঠ ছেড়ে প্রতিবাদ এবং দলের সব জনপ্রতিনিধি এবং জোট শরিকদের নিয়ে সারা দেশে গণজাগরণ ঘটাতে পারতেন। আওয়ামী লীগ প্রশাসনের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। প্রশাসন তাদের তান্ডবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনগতভাবে কিন্তু রাজনৈতিকভাবে গণমানুষকে নিয়ে গণমুখী দল আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কর্মসূচি ও বক্তব্য নিতে পারেনি। আওয়ামী লীগের বিশাল নেতা-কর্মী পদ-পদবিহীন সুযোগ-সুবিধাহীন ছিটকে পড়েছে ক্ষমতাকালে। দুর্দিনে তাদের অবদান ভুলে গেছে একালের নেতারা। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে দলের একদল নেতা কেবল সুবিধাবাদীদেরই দলে আশ্রয় দেয়নি, সংগঠনকেই দুর্বল করেনি, নিজেরা অঢেল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে। বিনা ব্যবসা-বাণিজ্যে এরা কীভাবে এত টাকার মালিক হলো আর এখন সে অর্থের মায়ায় আটকে আছে দলের হাইকমান্ড সে খবরও নেন না, ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। আওয়ামী লীগ নানাভাবে তার চরিত্র বদলে ফেলেছে। একসময় জাতীয় সম্মেলনে রাজনৈতিক প্রস্তাব, কর্মসূচি ঘোষণা হতো। এখন উৎসব হয়, গান হয় রাজনীতিটা দূরে থাকে। কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে প্রেসিডিয়াম নির্বাচিত হতো। প্রেসিডিয়ামের প্রথম সভায় ওয়ার্কিং কমিটি হতো। এখন সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর বাকি সব বিলম্বে হয়। জেলা পর্যায়ে সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাষণ উন্মুক্ত হতো। কাউন্সিল অধিবেশনে রুদ্ধদ্বার সাবজেক্ট কমিটির বৈঠক হতো, নেতৃত্বের নাম প্রস্তাব হতো। সমঝোতার দীর্ঘ আলোচনায় গভীর রাত চলে যেত। সমঝোতা না হলে ভোট হতো। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি নির্বাচন হতো। এতে প্রকৃত নেতা-কর্মী মূল্যায়ন হতেন। এখন জেলা সম্মেলনে বর্ণাঢ্য আয়োজন হয় ক্ষমতার সুবাদে। বিশাল জনসভায় কেন্দ্রীয় নেতারা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়ে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে মাসের পর মাস পার করেন। এতে বাণিজ্য হয় কোথাও। কোথাও সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদ-পদবি ভাগাভাগিই করেন না নিজেদের বাড়ির লোকদের থেকে ব্যক্তিগত পাইকদেরও কমিটিতে ঠাঁই দেন। দলের আদর্শবান, ত্যাগী মূলধারার নেতৃত্ব অনেকে বাদ পড়েন। আওয়ামী লীগকে এখানে দলকে আদর্শিক গণমুখী গণমানুষের দলে পরিণত না করলে সুমহান মুক্তিযুদ্ধবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা যেমন কঠিন হবে তেমনি রাজনীতিবিদদের ওপর আমলাতন্ত্রের খবরদারিও দিন দিন বাড়বে। রাজনীতিটা রাজনীতিবিদদের হাতে রাখাই রাজনীতিবিদদের জন্য মর্যাদার। এজন্য দলকে গণসম্পৃক্ত গণমুখী রাখতে দলের দুর্নীতিবাজ, বিতর্কিত নেতৃত্ব থেকেও মুক্ত করতে হবে। এ দেশে অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যের প্রতীক যেমন শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা তেমনি দল হিসেবেও আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগকেই আজকের জায়গায় দাঁড়িয়ে তার সাংগঠনিক চরিত্র ও রাজনৈতিক আদর্শ এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। ক্ষমতার হাওয়ায় ভাসলে চলবে না। দলের প্রেসিডিয়াম সভা, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক, বর্ধিত সভাও ভিডিও কনফারেন্সে করা যায় কি না ভাবতে হবে। বাঙালি জাতির মহত্তম নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শই দলের আদর্শ, জাতির আদর্শ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চারিত্রিক গুণাবলি কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কতজন লালন, ধারণ ও প্রয়োগ করেন সেটি সবাইকে আয়নায় দাঁড়িয়ে ভাবতে হবে। এমনিতেই আমরা করোনার মতোন মহাপ্রলয়ের মুখোমুখি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের করোনাযজ্ঞের পরিণতির দিকে তাকানো যায় না। বুকের কলিজা কেঁপে ওঠে। কী নিদারুণ পরিস্থিতি। অক্সিজেন চিকিৎসার জন্য কী আকুতি। চিতা জ্বলছে দিনরাত অবিরাম। শবদেহ নিয়ে লাইন। কী অসহনীয় দৃশ্য। আল্লাহ না করুন এই ভয়াবহ থাবা যদি আমাদের আক্রমণ করে সব তছনছ হয়ে যাবে। এ দেশ হয়ে যাবে মৃত্যুর বিভীষিকাময় জনপদ। সব চিকিৎসাব্যবস্থাই ভেঙে পড়বে। অক্সিজেনের মহাসংকটে পড়তে হবে। আমাদের এখনই হাসপাতালের আইসিইউ বৃদ্ধি এবং অক্সিজেন উৎপাদনে দ্রুত যেতে হবে। মানুষকে মানুষের পাশেই দাঁড়াতে হবে। খাদ্য সহায়তা দিতে হবে যার যা সামর্থ্য সে অনুযায়ী। আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থার পরিসর বাড়াতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে। এমন কঠিন সময়েও ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। ওরা মানুষ নয়, লোভ তাদের জন্মগত। রক্তে তাদের লোভ, প্রতারণা, বেইমানি, বিশ্বাসঘাতকতা, চরিত্রহীনতা। এমন সব নিয়েই আমাদের যুদ্ধ মোকাবিলা করতে হবে। করোনার পাশাপাশি ভয়ংকর উগ্রজঙ্গি সাম্প্রদায়িক হেফাজতে ইসলাম ও তার মিত্রদের দমন করতে হবে। সময় এখন সরকারের পাশে দাঁড়াবার। সরকার উৎখাতের নয়। সময় এখন মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার, ধ্বংসের নয়। এখন জাতির ঐক্যের প্রয়োজন। লকডাউন দিলেও নোংরা রাজনীতি, লকডাউন না দিলেও নোংরা রাজনীতি, এমনকি ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্কের রাজনীতি কোনো রাজনীতি নয়। হিংসা-বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ। এ লড়াইয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এবার বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকার হারভেস্ট মেশিন দেওয়ায় কৃষক দ্রুত কাটা, মাড়াই শেষ করে ঘরে ধান তুলেছে। সরকার খাদ্য সরবরাহও দেবে। এর সঙ্গে বিত্তবানদেরও মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আর হেফাজতের বিরুদ্ধে লড়াইটা রবিউল আলম চৌধুরীর একার নয়, মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক শক্তির লড়াই। আওয়ামী লীগের লড়াই। এ লড়াইয়ে সবাইকে সুসংগঠিতভাবে আদর্শিক জায়গা থেকে গণমানুষকে নিয়ে লড়তে হবে। আলেম-ওলামা আর ধর্মব্যবসায়ী হেফাজত এক নয়। এক হতে পারে না।
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।