দিল্লি ক্যাপিট্যালসের বিপক্ষে উড়ে গেল সাকিববিহীন কলকাতা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রাবাদাকে ঘিরে দিল্লির খেলোয়াড়দে উল্লাস
রাবাদাকে ঘিরে দিল্লির খেলোয়াড়দে উল্লাস। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহিত

টানা চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসানকে একাদশের বাইরে রেখেই খেলতে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। আগের ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পেলেও, আজ আর তা হয়নি। দিল্লি ক্যাপিট্যালসের বিপক্ষে উড়ে গিয়ে মৌসুমের পঞ্চম পরাজয়ের স্বাদ পেল কলকাতা।

আসরের প্রথম ম্যাচেই ৩৮ বলে ৭২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছিলেন দিল্লির তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান পৃথ্বি শ। তার ব্যাট হেসেছে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচেও। তবে সব ছাপিয়ে গেল কলকাতাকে সামনে পেয়ে। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তিনি একাই যেন উড়িয়ে দিলেন ইয়ন মরগ্যানের দলকে।

universel cardiac hospital

আহমেদাবাদের মোতেরায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৫৪ রানের বেশি দাঁড় করাতে পারেনি কলকাতা। জবাবে পৃথ্বির ঝড় তোলা ৮২ রানের ইনিংসে ২১ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে দিল্লি। যার সুবাদে তারা এখন সাত ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে গেছে টেবিলের দুই নম্বরে।

উদ্বোধনী জুটিতেই ম্যাচ শেষ করার আভাস দিয়েছিলেন দিল্লির দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও পৃথ্বি শ। আসরে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ধাওয়ান আউট হন জয়ের জন্য মাত্র ২৩ রান বাকি থাকতে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ের মারে ৪৬ রান।

ধাওয়ানের এই ধীর ব্যাটিংয়ের প্রভাব একটুও পড়েনি দিল্লির ইনিংসে। কেননা অপরপ্রান্তে কলকাতার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মেতেছিলেন পৃথ্বি। ইনিংসের প্রথম বলটি ওয়াইড করেন শিভাম মাভি। পরের ছয় বলের সবকয়টিতে চার মারেন ফর্মের চূড়ায় থাকা পৃথ্বি।

তার ঝড়ে মাত্র ৩.৪ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ পূরণ হয় দিল্লির। ইনিংসের অষ্টম ওভারে মাত্র ১৮ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ের মারে ফিফটি করেন পৃথ্বি। জয়ের জন্য ৯ রান বাকি থাকতে আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে ১১ চার ও ৩ ছয়ের মারে করেন ৮২ রান।

পরে অধিনায়ক রিশাভ পান্ত ৭ বলে ১৬ ও মার্কাস স্টয়নিস ৩ বলে ৬ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। আসরে সপ্তম ম্যাচে পঞ্চম পরাজয়ের পর মাত্র ৪ পয়েন্ট কলকাতার। তবে ভালো নেট রানরেটের সুবাদে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে রয়েছে তারা।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতিতে এগোতে থাকে কলকাতা। নীতিশ রানা (১২ বলে ১৫), রাহুল ত্রিপাথি (১৭ বলে ১৯), শুভমান গিলরা (৩৮ বলে ৪৩) ঠিক টি-টোয়েন্টির মেজাজে খেলতে পারেননি।

তারপরও একটা সময় ১ উইকেটে ৬৯ রান ছিল কলকাতার, দশম ওভার চলছে তখন। সেখান থেকে হঠাৎ ধস নামে ইনিংসে। ১৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। ইয়ন মরগ্যান আর সুনিল নারিন তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

এরপর দিনেশ কার্তিক ফেরেন ১০ বলে ১৪ করে। সেখান থেকে দলকে একটু একটু করে এগিয়ে নেয়া আন্দ্রে রাসেলের। শেষটায় এসে তো রীতিমত ঝড় তুললেন। ১৮তম ওভারে এক চার, ১৯তম ওভারে এক চার আর দুই ছক্কা, ২০তম ওভারে আরও এক ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন মূলত রাসেলই।

শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে ২ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কার মারে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন কলকাতার এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। ১৩ বলে ১১ রানে তার সঙ্গে ছিলেন প্যাট কামিন্স।

দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলারদের মধ্যে অক্ষর প্যাটেল আর ললিত যাদব নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। একটি করে শিকার আভেশ খান আর মার্কাস স্টয়নিসের।

শেয়ার করুন