মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

লকডাউনে পোশাক কারখানা
ফাইল ছবি

মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও এপ্রিল মাসের মজুরি পরিশোধের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। এর ব্যত্যয় হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন সংগঠনটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।

universel cardiac hospital

আগামী শুক্রবার মে মাসের ৭ তারিখ। সে হিসেবে ৬ তারিখের মধ্যে বেতন বোনাস পরিশোধের দাবি শ্রমিকদের।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের দেয়া ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চলমান আছে। এই ‘লকডাউনের’ মধ্যেও পোশাক শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতি ও রপ্তানির প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদনের চাকা সচল রেখেছে। কিন্তু সরকার শ্রমিকদের এই ত্যাগের কোনো স্বীকৃতি দেয়নি। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও ঝুঁকি ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি। পরিবহনের ব্যবস্থা না করে কারখানা চালু রেখে, স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয় আয়োজন ছাড়াই কাজ করানোর মাধ্যমে শ্রমিকদের দুর্ভোগে ফেলার জন্য দায়ী মালিকদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এতে আরও বলা হয়, আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি সুযোগসন্ধানী মালিকদের জন্য ১০ মে শবে কদর, তার আগে ৭ ও ৮ মে শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনের কারণ দেখিয়ে নির্দেশনা লঙ্ঘন করার এবং বরাবরের মতো শেষ মুহূর্তের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার পথ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এই ধরনের আচরণের পুনরাবৃত্তি শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে।

নির্দিষ্ট সময়ে বেতন ও বেতনের সমপরিমাণ বোনাস না পেলে শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১০ মে নয়, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ৬ মে’র মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের কমপক্ষে এক মাসের মজুরির সমান ঈদ বোনাস এবং এপ্রিল মাসের মজুরি পরিশোধ করতে হবে। না হলে মে দিবসের চেতনায় ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মঘণ্টা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন নিশ্চিত করতে পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

শেয়ার করুন