হেফাজত ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা করেছেন কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। এ মামলায় মামুনুল হককে গ্রেফতার দেখনো হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।
শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে কথিত স্ত্রী ঝর্ণা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঝর্ণাকে মেডিকেল টেস্টের জন্য নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রিসোর্টকাণ্ডের পর পরিচিতদের বাসায় জোরপূর্বক আটকে রাখা হয় তাকে। এ সময় তাকে তার বাবা-মার সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। প্রথম স্বামী শহীদুলের সঙ্গে সংসার ভাঙার মাস্টারমাইন্ডও ছিল মামুনুল।
এর আগে, ৩ এপ্রিল হেফাজত নেতা মামুনুল হক নারীসহ নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টে ধরা পড়েন। তখন তিনি ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। পরে প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বার সঙ্গে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয় তার। যেখানে মামুনুল বলেন, জনরোষ থেকে বাঁচতেই জান্নাত আরা ঝর্ণাকে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। আসলে ওই ঝর্ণা হাফেজ শহীদুলের স্ত্রী।
১৮ এপ্রিল মামুনুল গ্রেফতার হলে জিজ্ঞাসাবাদে রিসোর্টকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। পরের দুই নারীর সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক করেন মামুনুল। এরপর জান্নাত আরা ঝর্ণাকে মামুনুলের বোনের মোহাম্মাদপুরের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। দেওয়া হয় বাবার জিম্মায়।
হেফাজত নেতা মামুনুল হক বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় পুলিশের রিমান্ডে রয়েছেন। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছাড়াও তার ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকা লেনদেনের সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ।