শ্রীলংকার করা প্রথম ইনিংসের রানই দুই ইনিংস মিলে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে ক্যান্ডি টেস্টে ২০৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে জয়ী হলো শ্রীলংকা। এর মাধ্যমে শেষ হলো বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪৯৩ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হন ২৫১ রানে। দুই ইনিংস মিলে ১১ উইকেট নিয়েছেন জয়াবিক্রম।
বাংলাদেশকে ফলোঅনে ফেললেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে আসে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাই। ২ উইকেটে তৃতীয়দিন শেষে করে চতুর্থদিনের খেলায় রবিবার ফের ব্যাটিংয়ে নামেন আগেরদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান।
ব্যাট হাতে দ্রুত রান তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন লঙ্কানরা। দ্রুত রান করার পাশাপাশি ক্ষণে উইকেটেও হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৯৪ রানে করুনারত্নেরা ইনিংস ঘোষণা করলে আগের ইনিংসের ২৪৩ রানের লিডসহ বাংলাদেশের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় ৪৩৭ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতোই ভালো সূচনা এনে দেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। টানা পঞ্চম ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া হয়নি তার। আগের টেস্টে ক্রিকেটে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে আগের চার ইনিংসে ফিফটির দেখা পেলেও এবার ফিরেছেন মাত্র ২৪ রানে।
দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ওপেনার সাইফ হাসান। জয়াবিক্রমার বলে লাকমালের হাতে ক্যাচ দেয়ার পূর্বে ৪৬ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। এরপর ৪৪ বলে ২৬ রান করা শান্তকে বোল্ড করেন ওই জয়াবিক্রমাই।
দলীয় অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি পাওয়া শুরু করলে এমন সময় আউট হন দলনেতা। ৪৮ বলে ৩২ রান করে মেন্ডিসের বলে বোল্ড হন তিনি।
আগের প্রত্যেক ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘর পারলেও হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পাননি কেউই। কিন্তু মুশফিকের কাছে হয়তো ছোট্ট একটা ফিফটির প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু হতাশ করেছেন তিনিও। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ৪০ রান।
বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লাহিরু থিরিমান্নের ১৪০, দিমুথ করুনারত্নের ১১৮ রানের সুবাদে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম এবং শরিফুল ইসলাম।