২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধের নামে শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ কমূর্সচিতে তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম। এ ঘটনায় পরদিন গ্রেফতার করা হয় সংগঠনটির তৎকালীন মহাসচিব, বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরীকে। তিন মামলায় ২২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার। ১৩ দিনের রিমাণ্ড শেষে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি করে জামিনে মুক্ত হন বাবুনগরী।
সাম্প্রতিক সহিংতার মামলায় সংগঠনটির দুই ডজন নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। এরমধ্যে মামুনুল হকসহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পল্টন ও মতিঝিল থানা পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক জানিয়েছেন, সরকার পতনে ৫ মের আগে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে জুনায়েদ বাবুনগরীকে প্রধানমন্ত্রী করে কল্পিত মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়।
ডিএমপি মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার নুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি এবং জামায়াত তাদের সঙ্গে এক হয়ে যাওয়ার পর তারা রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে। উপরের কাঠামোটা তৈরি হয়েছিল। জুনায়েদ বাবুনগরীকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল, আহমেদ শফি সাহেবকে রাষ্ট্রপতি। এ রকম শীর্ষ নেতাদের বণ্টন হয়ে গিয়েছিল।
তিনি জানান, তদন্তে জুনায়েদ বাবুনগরীর সম্পৃক্ততা পেলে তাকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।
ডিসি বলেন, হেফাজতে তার কী অবস্থান, সেটা আমরা বিবেচনায় নেব না। আমরা দেখব, অপরাধীর মানদণ্ডে তিনি অপরাধী কিনা।
এদিকে, নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় হওয়া ধর্ষণ, ভাঙচুরের তিন মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের ২৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। আগামী ৯ মে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।