ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব: কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল গ্রেফতার

মাওলানা বিল্লাল হোসেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বিল্লাল হোসেনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। তিনি কান্দিপাড়া এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার শিক্ষক।

universel cardiac hospital

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হেফাজতের তাণ্ডবের অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিল্লাল। ভিডিও ফুটেজেও তাকে দেখা গেছে। তাকে তাণ্ডবের একাধিক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়ে হেফাজতের ব্যানারে মাদ্রাসার ছাত্ররা গত ২৬ মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ওই দিন বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে হামলা চালিয়ে জাতির জনকের ম্যুরাল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশসুপারের বাসভবন, জেলা জজের বাসভবন, জেলা সিভিল সার্জনের অফিসসহ ভাংচুরসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়।

এ ছাড়াও ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে হরতাল সমর্থকরা শহীদ ধীরেন্দ্রসনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, সুর সম্রাট স্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীরেত পরিণত করে।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি সবাই অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী। ৫৭টির মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা হয়। এসব মামলায় সোমবার (৩ মে) পর্যন্ত মোট ৪০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শেয়ার করুন