ম্যাচ জেতো, মাদ্রিদের দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে চলো শিরোপার দৌঁড়ে। পয়েন্ট হারাও, পিছিয়ে পড়ো শিরোপা লড়াইয়ে। আজ এমন হিসাব সামনে রেখেই ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচটি শুরু করেছিল বার্সেলোনা। মেস্তায়ায় ম্যাচ শেষে প্রথম হিসাবটাই মিলেছে বার্সেলোনার। ভ্যালেন্সিয়াকে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে ৩–২ গোলে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে দারুণভাবেই টিকে রইল বার্সেলোনা। লিওনেল মেসি করেছেন জোড়া গোল, বার্সার অন্য গোলটি আঁতোয়ান গ্রিজমানের।
৩৪ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের সমান ৭৪ পয়েন্ট বার্সার। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসেবে এগিয়ে থাকায় রিয়াল আছে দুইয়ে, বার্সা তিনে। সমান ম্যাচে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে দিয়েগো সিমিওনের আতলেতিকো মাদ্রিদ।
মেস্তায়ায় দুর্দান্ত এক ম্যাচে প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও ১৪ মিনিটের এক ঝড়ে ভ্যালেন্সিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে বার্সেলোনা ম্যাচটি জিতেছে । দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল খেয়ে বসা বার্সা ওই ১৪ মিনিটেই দিয়েছে ৩ গোল।
৫৫ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়ার সর্বনাশ ডেকে আনেন টনি লাতো। পেনাল্টি বক্সে হাত লাগিয়ে ফেলেন বলে। পেনাল্টি! মেসির দুর্বল শট সিলেসেন ফিরিয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত গোলের খাতায় নাম উঠে যায় মেসিরই। ফিরতি বলে পেদ্রির জোরালো শট ভ্যালেন্সিয়ার ডিফেন্ডারের শরীরে লেগে পড়ে মেসির ঠিক সামনে। পেনাল্টি মিস করলেও এবার আর মেসি গোল মিস করেননি। পেয়ে যান লিগে নিজের ২৭তম গোল।
৬৩ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় বার্সা। এবারের গোলদাতা আঁতোয়ান গ্রিজমান। জর্দি আলবার ক্রসে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং জালে প্রায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বল। হয়নি সিলেসেনের আরেকটি দুর্দান্ত সেভে। কিন্তু ওত পেতে থাকা গ্রিজমান ফিরতি বলে গোল করতে ভোলেননি।
ছয় মিনিট পর আবার গোল। এবার মেসির দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে বার্সেলোনা এগিয়ে যায় ৩–১ গোলে। সিলেসেনের এবার কিছুই করার ছিল না।
ভ্যালেন্সিয়া প্রথম গোলটি পেয়ে যায় ৫০ মিনিটে। গঞ্জালো গেদেসের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক–আন্দ্রে টের স্টেগেন। কর্নার থেকে আসা বল টের স্টেগেন মিস করলে গ্যাব্রিয়েল পলিস্তার হেড এগিয়ে দেয় ভ্যালেন্সিয়াকে।
৮৩ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে কার্লোস সোলেরের অসাধারণ শট শুধু ব্যবধানই কমাতে পারে ভ্যালেন্সিয়া।
প্রথমার্ধের আধিপত্য ছিল বার্সেলোনারই। প্রথম ৪৫ মিনিটে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেছে লিওনেল মেসির দল। ম্যাচ শুরুর ৩ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যেতে পারত কাতালান ক্লাবটি। পেনাল্টি স্পটের একটু দূর থেকে কী করে যেন বলটাকে পোস্টের বাইরে মারলেন পেদ্রি।
১২ মিনিটে মেসির নিখুঁত এক ফ্রিকিকে গোলের একদম সামনে পা লাগিয়েছিলেন রোনালদ আরাউহো। ভ্যালেন্সিয়ার গোলরক্ষক ইয়াসপার সিলেসেনের শরীরে লেগে আর গোলে ঢুকতে পারেনি তা।
৪০ মিনিটেও দারুণ এক সুযোগ নষ্ট করে বার্সা। বাঁ প্রান্ত থেকে জর্দি আলবার ক্রসে পা লাগালেই গোল, কিন্তু না আঁতোয়ান গ্রিজমান না ফাঁকায় দাঁড়ানো পেদ্রি কেউ পা লাগাতে পারলেন না।
প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ভ্যালেন্সিয়াও। হোসে গায়া ও উরোস রাচিচ নষ্ট করেছেন তা।