এবার হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা কমিটির সহসভাপতি মাওলানা মেহেদী হাসান ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেওয়ার জন্য থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।
সোমবার (৩ মে) রাত ১০টার দিকে সদর মডেল থানায় মামলার এজাহারটি জমা দেন তিনি। এজাহারে মেহেদী ও আমজাদসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। আরেক আসামি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কে. দাস মোড়ের বাসিন্দা সানাউল হক চৌধুরী (৫৫)।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতির দেওয়া এজাহারটি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংগঠিত হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের প্রত্যক্ষ মদদদাতা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মানহানি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির জন্য মাওলানা মেহেদী হাসান তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেন।
মেহেদী তার সেই পোস্টে মোকতাদির চৌধুরীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলাকারী উল্লেখ করে ফাঁসি দাবি করেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অভিপ্রায়ে বাকি দুই আসামি মেহেদীর ওই পোস্ট প্রচার করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী।
এর আগে শনিবার (০১ মে) সন্ধ্যায় হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুবারক উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেওয়ার জন্য সদর মডেল থানায় এজাহার জমা দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
হেফাজতের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শ জনকে আসামি করা হয় মামলার এজাহারে। তবে এজাহারটি মামলা হিসেবে এখনো নথিভুক্ত হয়নি।
এজাহারে উল্লেখিত ফেসবুক পেজ ও আইডির লিংকগুলো পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার কাছে চিঠি দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ।