বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রতিপাদ্য ও বাস্তবতা

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। ফাইল ছবি

৩ মে, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এবার দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘তথ্য জনগণের পণ্য’। প্রতি বছর ৩ মে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়। এ বছরও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে দিবসটি পালন করা হয়।

সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় এই দিবসটিতে।

universel cardiac hospital

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের প্রসার কতটা ব্যাপক হয়েছে- তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আশির দশকেও আমরা যখন পত্রপত্রিকায় কিছু লেখার চেষ্টা করতাম- তখন সরকারের বিরুদ্ধে কিছু লেখা ছিল প্রায় অকল্পনীয় ব্যাপার। বর্তমান বাস্তবতা এর সম্পূর্ণই বিপরীত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সদিচ্ছায় মত প্রকাশ তথা মুক্ত সাংবাদিকতার সুযোগ অনেক বেশী।

অবশ্য এখানে প্রতিটি গণমাধ্যমকে পেশাদারিত্বের জানা-অজানা নানা বাস্তবতার মুখোমুখিও হতে হয়েছে। বিশেষ করে গণমাধ্যম নামের ভেতরে কিছু পত্রপত্রিকা বা টিভি চ্যানেলের অনুপ্রবেশ ঘটেছে যেগুলোর আসল উদ্দেশ্য কিন্তু গণমাধ্যমের পেশাদারিত্ব অর্জন বা সেভাবে দেশ ও জাতিকে সংবাদ পরিবেশন ও লেখালেখি করা নয় কিংবা রাজনৈতিক ও সামাজিক চেতনায় অবদান রাখা নয়। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের নিজস্ব দলীয় রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচার করা।

তবে একথা সত্য যে, রাজনৈতিক লড়াইয়ে স্বাধীন বা মুক্ত গণমাধ্যমের সহযোগিতা সবারই পাওয়ার অধিকার রয়েছে- যদি রাজনৈতিক দলগুলো মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি নিষ্ঠ থাকে। আর এক্ষেত্রে কোনোপ্রকার স্বেচ্ছাচারীতার সুযোগ নেই। বিশেষ করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সুযোগে যেন পাঠকের সামনে কোনো মিথ্যা তথ্য তুলে ধরা না হয় তা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। কারণ মিথ্যে কোনো তথ্য জনগণের পণ্য হতে পারে না।

শেয়ার করুন