ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব: হেফাজতের সহকারী প্রচার সম্পাদক গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

গাজী ইয়াকুব ওসমানী
হেফাজত নেতা গাজী ইয়াকুব ওসমানী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানীকে (৪৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফেনী জেলা শহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল তাকে গ্রেফতার করে। ইয়াকুব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শ্যামবাড়ির মৃত আবু ইউসুফের ছেলে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে হেফাজতে ইসলামের চালানো তাণ্ডবের প্রতিটি ঘটনায় ইয়াকুব ওসমানীর ইন্ধন ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলা তাণ্ডবেও ইন্ধন দিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়ে হেফাজতের ব্যানারে মাদ্রাসার ছাত্ররা গত ২৬ মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ওই দিন বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে হামলা চালিয়ে জাতির জনকের ম্যুরাল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশসুপারের বাসভবন, জেলা জজের বাসভবন, জেলা সিভিল সার্জনের অফিসসহ ভাংচুরসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়।

এ ছাড়াও ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে হরতাল সমর্থকরা শহীদ ধীরেন্দ্রসনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, সুর সম্রাট স্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীরেত পরিণত করে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

শেয়ার করুন