প্রসঙ্গ: বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দ্বিতীয় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী

মোকতাদির চৌধুরী এমপি
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

২০০৭ সালে দেশে সেনা সমর্থিত কথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজনীতির মাঠ তো বটেই সাধারণের মুখে মুখে প্রচলিত ছিল মাইনাস-টু ফর্মুলা। ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের নেতৃত্বে গণতন্ত্রহীন ওই সময়ে ব্যক্তিগত কাজেই দেশের বাইরে গিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু রাজনৈতিক সংস্কারের নামে বাধা দেয়া হয়েছিল শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে। অবশ্য সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৭ মে দেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার দ্বিতীয় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল রাজনীতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। 

শেখ হাসিনার অবর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে হুলিয়া জারি করে। ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে ঢুকতে দেয়া হলেও সেনাশাসকদের হুমকির ভয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান তাকে নামিয়ে দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সে দেশের গণমাধ্যমকে স্পষ্ট বলেন দেন, ‘আমি জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। তারপরেও আমি আমার দেশে ফিরতে চাই। কেন তারা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) আমাকে ফিরতে দিচ্ছে না।’

universel cardiac hospital

দেশের টানে, মানুষের ভালোবাসার সাহসে জননেত্রী ওই বছরের ৭ মে দেশে ফিরেছিলেন। এরপরের ইতিহাস অর্জনের, এগিয়ে যাওয়ার। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশের শাসনভার পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শত বাধা আর ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে তিনি নিরবধি অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।

দেশ ও দেশের মানুষের প্রয়োজনে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।

শেয়ার করুন