করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে গত একদিনে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ছয় সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সবশেষ ২৮ মার্চ ৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। ২৯ মার্চ তা বেড়ে ৪৫ জন হয়। এরপর তা বাড়তে বাড়তে ১১২ জনে গিয়ে ঠেকে। এদিকে মৃত্যুর সংখ্যা কমার পাশাপাশি গত একদিনে কমেছে শনাক্তের সংখ্যাও।
আজ শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ১৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৬৮২ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৪২ জন।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গতকাল ছিল ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৭৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৪১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন ও নারী ১৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে শূন্য থেকে চল্লিশ বছর বয়সী একজন, চল্লিশ থেকে ৫০ বছরের ৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১ জন এবং ষাটোর্র্ধ্ব ২০ জন রয়েছেন।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মার্চ মাস থেকে তা শুধুই বাড়ছে। গত ১৬ এপ্রিল মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ।
বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।