দেশজুড়ে চলছে মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। সরকারের ঘোষিত লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধের কারণে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে, যা নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক। কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে যেভাবে শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা বাড়িয়ে দিয়েছে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা।
আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে করোনা অবস্থা ভয়াবহ। প্রতিদিন সেখানে তিন থেকে চার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। শ্মশানঘাট-কবরস্থানে মৃতদেহ সৎকার ও দাফনের জন্য চলছে দীর্ঘ লাইন। প্রতিদিন হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার তুলনায় প্রায় ৫-৬ গুণ বেশি রোগী আসছে। যেসব রোগী হাসপাতালে আসছে তাদের শতকরা নব্বই ভাগেরই অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে। যদিও ভারতেরই প্রতিটি হাসপাতালে চলছে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার। ভারতের এই ভয়াবহতা আমাদেরকেও চোখ রাঙাচ্ছে।
- আরও পড়ুন >> ভোতা ও আগ্নেয়াস্ত্রমুক্ত কওমী মাদ্রাসা চাই
এমতাবস্থায় মহামারি করোনা প্রতিরোধে আমাদের মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে রোগী চিহ্নিতকরণ, আইসোলেশন, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করে কোয়ারেন্টিন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রচারণা বাড়ানো এবং স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরি।
তাছাড়া সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় যদি দেশে অক্সিজেনের মজুত পর্যাপ্ত না থাকে তাহলে সরকারের উচিত এখনই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কেননা, বর্তমানে বেশিরভাই রোগীরই অন্যান্য চিকিৎসার প্রয়োজন না হলেও অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। এক্ষেত্রে অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে রোগীর প্রয়োজনে বাসায়ও চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবে এবং ভারতের মতো অক্সিজেনের অভাবে হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে না।